• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সেরা মডেল সরকারি ও দ্বিতীয় ডিগ্রি কলেজ

হাজীগঞ্জে এইচএসসিতে পাসের হার ৯৭ ও আলিমে ৯৯.৬০ শতাংশ

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 রোববার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট পাসের হার ৯৭.১২। উপজেলা থেকে চলতি বছর ৩ হাজার ১২১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৫ জন ও এ গ্রেড ১ হাজার ৫৭৯ জন, এ মাইনাস ৬৮৫ জন, বি গ্রেড ২৬৭ জন, সি গ্রেড ৯২ জন, ডি গ্রেড ৩ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন।
উপজেলার ৯টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০১ জিপিএ-৫ নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ১শ’ ৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ১শ’ ৩১ জন। পাসের হার ৯৬.২৬। এছাড়াও এ গ্রেড ৬শ’ ৬০ জন, এ মাইনাস ১শ’ ৮৬ জন, বি গ্রেড ৬০ জন, সি গ্রেড ২৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪৪ জন।
উপজেলার অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ১শ’ ৩৬ জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮শ’ ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৮শ’ ১৬ জন। পাসের হার ৯৮.৩৭। এছাড়াও এ গ্রেড ৪শ’ ৪৫ জন, এ মাইনাস ১শ’ ৭৯ জন, বি গ্রেড ৪৯ জন, সি গ্রেড ৬ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৬ জন।
৩৩ জন জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলার মধ্যে ৩য় অবস্থানে রয়েছে ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১শ’ ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এছাড়াও এ গ্রেড ১শ’ ১৩ জন, এ মাইনাস ৩২ জন, বি গ্রেড ১ জন ও সি গ্রেড ৬ জন।
হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২শ’ ৪০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২শ’ ৩০ জন। পাসের হার ৯৫.৮৩। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ৭২ জন, এ মাইনাস ৭৮ জন, বি গ্রেড ৫১ জন, সি গ্রেড ২৪ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।
নাসিরকোট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ থেকে ২শ’ ৩০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২শ’ ২৯ জন। পাসের হার ৯৯.৫৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ৯০ জন, এ মাইনাস ৭৫ জন, বি গ্রেড ৪২ জন, সি গ্রেড ১৭ জন, ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১শ’ ৫০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১শ’ ৪৫ জন। পাসের হার ৯৬.৬৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৪৮ জন, বি গ্রেড ৩২ জন, সি গ্রেড ১৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন।
দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজ থেকে ১শ’ ২৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১শ’ ২৬ জন। পাসের হার ৯৭.৬৭। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ৩৫ জন, বি গ্রেড ২৪ জন, সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন।
কাকৈরতলা জনতা কলেজ থেকে ১শ’ ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, এ গ্রেড ৯৮ জন, এ মাইনাস ৪৮ জন ও বি গ্রেড ৫ জন।
হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজ থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩ জন। পাসের হার ৯২.৮৬। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৫ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
অপরদিকে উপজেলার ১৩ টি মাদ্রাসার ৬শ’ ৯৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬শ’ ৯৭ জন। পাসের হার ৯৯.৬০। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন, এ পেয়েছে ২শ’ ১৪ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ১শ’ ৩৭ জন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ আহম্মদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১শ’ ১৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এ প্লাস পেয়েছে ১৬ জন। বাকিলা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৩ জন, পাসের হার ৯৭। বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিডিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। নেছারাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। রাজারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। রামচন্দ্রপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ছালেহাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। সুহিলপুর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। বলাখাল এনএমএন আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৫ জন, পাসের হার ৯৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। কাকৈরতলা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। কাপাইকাপ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে।

সর্বাধিক পঠিত