পৌর মেয়রের দৃষ্টি কামনা
পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়কের বেহাল দশা
নারীর প্রসব ব্যথা উঠে যায় চলাচলে
চাঁদপুর শহরে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হচ্ছে পুরাণবাজারস্থ লোহারপুল থেকে দোকানঘর-রামদাসদী সড়ক। চাঁদপুর পৌর ৩নং ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলা ও হাইমচর উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের প্রধান এ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের অনুপযোগী। প্রায় দুই বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হলেও অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি উঠে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে মক্কা মিল, জাফরাবাদ, পালপাড়া, আখন বাড়ি, আলম মোল্লা বাড়ি, জাফরাবাদ ও এমদাদিয়া মাদ্রাসা এবং দোকান ঘর চৌরাস্তা পর্যন্ত। সড়কের বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে গেছে, যা দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার করার প্রয়োজন হলেও তাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেউ এগিয়ে আসেনি। সরেজমিনে রাস্তার বেহাল দশা দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যাতায়াতের সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ভাঙ্গা রাস্তায় ব্যাপক ঝাঁকুনির কারণে ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রসব ব্যথা উঠে যায়। এমন কথা জানিয়েছেন দোকানঘর এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ জিন্নাহ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, চাঁদপুর শহর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের এই সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। সড়কের আশেপাশে দুটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহনের যাতায়াত এ সড়কে। পুরাণবাজার ব্যবসায়ী এলাকা থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। হরিণা ফেরিঘাট যাওয়ার সড়কও এটি।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের বড় ভাইয়ের শ^শুরবাড়ি এখানে। চাঁদপুর বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সোনা আখন্দ, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলম মোল্লা, আকবর খাঁর বাড়িতে যাতায়াতও এই সড়কে। কিন্তু সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
এমদাদিয়া মাদ্রাসার মাওলানা কবির জানান, পুরাণবাজার দোকানঘর এলাকার এই সড়কের অবস্থা ভালো না হওয়ায় গাড়ি আটকে যায়। গত বছর সড়ক মেরামত করা হয়েছিলো। কিন্তু অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে এখন গর্ত আর গর্ত।
দোকানঘর এলাকার অটোবাইক চালক শুভ (২৫) জানান, এই সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে তার গাড়ির দুইবার চেসিস ভেঙ্গে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে সড়কের কাজ করার জন্য পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
সড়কের বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের মেরামত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে সড়কের জন্য আমরা পাথর সংগ্রহ করেছি। উন্নতমানের বিটুমিন আসলেই রাস্তার মেনটেনেন্সের কাজ শুরু করবো।