এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। পাস করেছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। আগের বছরের চেয়ে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৭ হাজার ৩৬২ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার শতকরা হার এবার ১৩ দশমিক ৭৯।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের সার্বিক বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর সবার জন্য ফলাফল উন্মুক্ত করা হয়।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের (এইচএসসি), ৪ হাজার ৮৭২ জন মাদরাসা বোর্ডের এবং ৫ হাজার ৭৭৫ জন কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থী।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়নি, স্বয়ংক্রিয় পাস (অটোপাস) দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। সে বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। পাস করেছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন। পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭২ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, রাজশাহী ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এবার ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এছাড়া ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদরাসা ও ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থী।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখবে। এরপর তা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস আকারে পাঠাবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।