ফরিদগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কেটে অবৈধ ট্রাক্টরে পরিবহন
কমছে আবাদী জমির পরিমাণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের রাস্তা
ফরিদগঞ্জে অবাধেই কাটছে ফসলি জমির মাটি। এ মাটি ব্যবহার হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা ইটভাটাসহ নানা স্থাপনায় নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজে। শুধু তা-ই নয়, মাটিবাহী যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের অবাধ চলাচলে গ্রামীণ সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এতে করে একদিকে যেমন ফসলি জমি কমছে, পাশাপাশি গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন বেআইনী কাজটি প্রকাশ্যে চলতে থাকলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে ফরিদগঞ্জ উপজেলাব্যাপী একাধিক সিন্ডিকেট মাটির ব্যবসায় সক্রিয় থাকে। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাত করে অবাধে কেটে চলেছে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে চাষাবাদ। বেশিরভাগ মাটি কিনছেন ইটভাটার মালিক কিংবা নতুন করে ঘর-বাড়ি নির্মাণকারী ব্যক্তিরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি হারানোর কারণে কৃষকরা তাদের জমিতে ফসল উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বালিথুবা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান ও গুপ্টি এলাকার কৃষক সহিদ উল্লাহ জানায়, টাকার লোভে অনেক জমির মালিক মাটি বিক্রিতে ঝুঁকছেন। কৃষি জমিতে ১০-১২ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি হচ্ছে। ফলে পাশের জমির মাটিও ভেঙ্গে পড়ছে। বাধ্য হয়ে ওইসব জমির মাটিও বিক্রি করছেন মালিকরা। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে দিনে কিংবা রাতের আঁধারে এসব মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দিচ্ছে তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামাল মাহমুদ বলেছেন, ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার ফলে জমি তার উর্বরতা শক্তি হারিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ক্ষতি পোষাতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে প্রতি বছরই আবাদী জমির পরিমাণ কমে আসছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার এ প্রতিনিধিকে বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। মাটি কাটা হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ কিংবা তথ্য থাকলে আমাকে দিন। আমি সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেব।