তত্ত্বাবধায়কের চেষ্টায় পাল্টাচ্ছে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের রূপ ॥ বাড়ছে সেবার মান
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ব্যবহার অনুপযোগী টয়লেট, অপ্রতুল বেড সংখ্যা, বিশুদ্ধ পানির অভাব-এমনই অবস্থা ছিলো আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের। তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুুবুর রহমানের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে হাসপাতালের এ চিত্র। সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তুষ্ট রোগী ও তাদের স্বজনরা। ফলে রোগী ও স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আশার আলো।
সরেজমিনে জানা যায়, জনবল কম থাকলেও হাসপাতালে নিযুক্ত চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রোগীদের সেবার কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে ঝকঝকে-তকতকে। কোথাও ময়লা-আবর্জনা নেই। নেই কোনো দুর্গন্ধ। চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই সময়মতো হাসপাতালে আসেন। সরকারি হাসপাতাল নিয়ে রোগীদের যে বিস্তর অভিযোগ, তা এখন কমে এসেছে। নতুন বছরের শুরুতেই হাসপাতালটিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান উক্ত হাসপাতলে চার মাস হলো যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছেন। চিকিৎসক-নার্স-ওয়ার্ডবয়-আয়াসহ হাসপাতালের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্যে তদারকি করছেন।
ডাঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সময়মতো হাসপাতালে আসেন এবং সময়মতো কর্মস্থলে থাকেন তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি।
এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান। কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে ব্যবস্থা নিবেন।
হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তা এ চিকিৎসক আরো বলেন, করোনা চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা অনেক ক্ষেত্রে বিঘিœত হচ্ছে। এর উপর আছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। তাতে সংকুলান হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে নানা সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করছেন। সহসাই চালু করা হবে আইসিইউ। তবে সেটি দশ বেডের করার চেষ্টা করছেন তিনি। হাসপাতালের স্যানিটেশন ব্যবস্থা আরো উন্নত করার বিষয় নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবাকে আরো উন্নত করার জন্যে আমি চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে এসে কোনো রোগী ফিরে যাচ্ছে না, তাদেরকে ফ্লোরে বিছানা দিয়ে হলেও চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল হলেও সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ রোগীর চিকিৎসা সেবা এ অবকাঠামোর মধ্যেও চালিয়ে নিচ্ছি।