ণফযচাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তাগণ
ক্ষমা চান তা না হলে আন্দোলন আরো বেগবান হবে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুরে সপ্তাহব্যাপী চলে আসছে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।
গতকাল ২ ফেব্রুযারি বিকেলে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে এখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আরশ্বাদ মিয়াজীর পরিচালনায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সদর উপজেলা ও চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী ও অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের রুখে দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা সবসময় সোচ্চার রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে তখনই দল ও দলের বাইরে একটি কুচক্রীমহল অপপ্রচার চালিয়ে দল ও সরকারের সুনাম ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা চালায়।
নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার পর চাঁদপুরের জনগণের স্বার্থে এতো উন্নয়ন কাজ আর কোনো সরকার করতে পারেনি বলে বক্তব্যে বলেন। আর সকল কিছু সম্ভব হয়েছে চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির এমপির বদান্যতায়। তাই একজন সজ্জন ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর সুনাম শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বেও। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এ সকল অপপ্রচার বন্ধ করার জন্যে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে দেন। অন্যথায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, পদ্মা সেতু তৈরির পূর্বে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুতে কিছুদিনের মধ্যে যানবাহন চলবে। ঠিক তেমনি চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে আমাদের ঘরের লোক। দীপু মনির সমালোচনা করা হলে শেখ হাসিনার সমালোচনা করা হয়। কারণ তিনি মন্ত্রী, দলের যুগ্ম সম্পাদক ও এমপি। বক্তারা বলেন, আমরা প্রতিবাদ করতে চাই বিরোধীদলের বিরুদ্ধে। কিন্তু আজ দলের সভাপতি হয়ে নিজের দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন। আপনারা এ বিষয়ে ক্ষমা চান তা না হলে আন্দোলন আরো বেগবান হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিৎ রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান নান্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক শিমুল হাসান শামনু, তাজুল ইসলাম মিয়াজী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেজোয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গাজী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান, ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, ৭নং তরপুরচ-ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী, ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উল্লা মাস্টার, ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাশেম খান, ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু, ১৩নং হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ ছাত্তার রাঢ়ী, ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী।
এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে আসতে থাকে। কোনো কোনো মিছিলে নেতৃত্ব দেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। মিছিলে মিছিলে পুরো শহর যেনো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় মিছিল আসে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন থেকে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।