• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

থানায় ঢুকে পুলিশকে মেরে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা ॥ গ্রেফতার ৩

আটককৃতরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী এবং বহু মামলার আসামী

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার সংঘবদ্ধ কজন আসামী চাঁদপুর নৌ থানায় প্রবেশ করে পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও স্বপন নামে এক বালু ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে তাদের বেদম মারধর করেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর নৌ থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় নৌ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আলী আকবর বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো : চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে পলাশ হোসেন (৩২), একই এলাকার মৃত আক্তার মোল্লার ছেলে মোঃ তাজমির মোল্লা (২৮) ও ইব্রাহিম পাটওয়ারীর ছেলে রাব্বী পাটওয়ারী (৩০)। এরা এলাকার মানুষের কাছে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া আমান উল্লাহর ছেলে মোঃ আল-আমিন (৩২)সহ অজ্ঞাতনামা আরেক আসামী পলাতক রয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন : সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আলী আকবর বাবুল, কনস্টেবল মোঃ ইউনুছ ও অফিস সহকারী রাকিব। আহত পুলিশ সদস্যরা রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে চিকিৎসা নেন।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আলী আকবর বাবুল মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় মোঃ স্বপন ফরাজী (৪২) নামের বালু ব্যবসায়ী হঠাৎ করে ‘আমাকে বাঁচান বাঁচান’ বলে চিৎকার দিয়ে ওসি সাহেবের কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তখন ওই কক্ষের সামনে থাকা কনস্টেবল মোঃ ইউনুছ তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ইউনুছকে ধাক্কা দিয়ে ওসি সাহেবের কক্ষে প্রবেশ করে স্বপনকে মারধর করতে থাকে। ওই অবস্থায় এএসআই আলী আকবরসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের মারধর থামাতে গেলে তাদেরকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করে। আসামীরা খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে এবং পুলিশকে হুমকি ধমকি দেয়। তাদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নৌ থানার ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম। তাকেও দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ওসি চাঁদপুর মডেল থানার সহায়তা চান। পরে মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় হামলকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এরই মধ্যে আল-আমিনসহ আরো দুই হামলাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত অপরাধী। তারা আমার কক্ষে প্রবেশ করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মডেল থানায় সংবাদ দেই। মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার আসামী। স্বপন নামে ওই ব্যক্তি তাদের মার খেয়ে থানায় এসে প্রবেশ করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কজন পুলিশ আহত হয়। হামলাকারী ৩ জন গ্রেফতার আছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে আটক তিনজনের ব্যাপারে কোড়ালিয়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরা এলাকায় মাদক, ছিনতাই, ভূমিদস্যু, নারী ঘটিত অপরাধসহ হেন কোনো অপরাধ নেই যে তারা করে না। এদেরকে এলাকার মানুষ ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে চিনে।

সর্বাধিক পঠিত