আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের শীর্ষ দশ নেতাকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে
বর্তমানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ দশজন নেতার নাম বলেন তো। উপস্থিত কয়েকজন ৫-৬ জন পর্যন্ত নাম বলতে পেরেছেন। পরে প্রশ্নকারী পর পর দশটা নাম বলে গেলেন। নামগুলো বলে তিনি বললেন, এই দশজনের কোনো একজনকে বিতর্কিত করা মানে সরকারকে বিতর্কিত করা, দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা। আর দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেললে স্বয়ং দলের প্রধানও বাদ যান না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন সেই ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা হচ্ছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক। আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই দশ নেতা হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডাঃ দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদসহ আরো দুজন। এঁদেরকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন মহল উঠেপড়ে লেগেছে। নানাভাবে তাঁদেরকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। সেজন্য দলের নেতা-কর্মীদের খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সরকার বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র এসব শীর্ষ নেতার নামে নানা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে জনগণকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতারা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এটা দলের জন্য আত্মঘাতী।
এসব কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তিনি কদিন আগে চাঁদপুর বেড়াতে এসেছেন তাঁর এক বন্ধুর আমন্ত্রণে। এ সময় তাঁর সাথে বেশ কিছু সময় কথা হয় নানা বিষয়ে। আলাপচারিতা চলাকালে তিনি এ কথাগুলো বলেন।