• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা

বুদ্ধিজীবীরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করেছিলেন : বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ

চাঁদপুরের কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইতে হয়রানির নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশ:  ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তী, চাঁদপুরের শেখ কামাল খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ। তিনি প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা সভায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর বীরত্বগাঁথার অংশবিশেষ তুলে ধরেন। তার দীর্ঘ আলোচনায় শুধু চাঁদপুরই নয়, দেশের মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।
মুনির আহমেদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে বলেন, বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের লেখনি, বুদ্ধি, পরামর্শ ও পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধ আপামর জনতার যুদ্ধ তথা জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন আমাদের আলোকবর্তিকা, বাতিঘর। বাঙালিদের মেধাশূন্য করার জন্যে এবং তারা যাতে পথের দিশা না পায়, সে হীন উদ্দেশ্যে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানী দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামসরা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা করে এবং বাস্তবায়নও করে।
তিনি বলেন, মূলত ২৫ মার্চ থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু হয়। আর ১৪ ডিসেম্বর গণহারে হত্যা করা হয় এবং এদিন বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে ঢাকার রায়েরবাজারে গণহারে হত্যা করা হয়। এজন্যে সে জায়গাটি বধ্যভূমি আর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে এ জাতিকে যে মেধাশূন্য করা হয়েছিল, সে শূন্যতা থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, শহীদ পাটোয়ারী ও শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর ও এএইচএম আহসান উল্লাহ।
আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আলম, শাহাদাত হোসেন শান্ত, ইব্রাহিম রনি, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক কাদের পলাশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক একে আজাদ, কার্যকরী সদস্য আবদুর রহমান, এমএ লতিফ, প্রেসক্লাব সদস্য ফণী ভূষণ চন্দ, এমআর ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তালহা জুবায়ের, প্রেসক্লাব সদস্য ইলিয়াছ মিয়া, সেলিম রেজা, আলোকচিত্রী শাওন পাটওয়ারী, মানিক দাস, মুহম্মদ আলমগীর, শাহরিয়া পলাশ প্রমুখ। এর আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ পাটওয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদসহ চাঁদপুরের কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইতে হয়রানির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলোচনা সভার বক্তারা। তারা বলেন, যেসব নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে তাদের নাম বাদ দেয়ার ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কতিপয় লোক। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে এমন জঘন্য ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের সব শক্তিকে এ ব্যাপারে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে।