ফরিদগঞ্জ বাজারের ড্রেন নির্মাণ কাজ নিয়ে অসন্তোষ
ফরিদগঞ্জ বাজারের ড্রেন নির্মাণ কাজে হ-য-ব-র-ল অবস্থা ও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ১৪৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফরিদগঞ্জ পূর্ব বাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেরোয়া সড়কের অংশে ডিজাইন সংশোধন করে কাজ শুরু হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নির্মাণ কাজে নি¤œমানের কংক্রিট ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রেনের এই অংশে নিচ থেকে ইউ ডিজাইনে বাঁকা করে ভার্টিকেল (খাড়া) রড বাইন্ডিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাছাড়া খাড়া রডের ওপর টানা রডের বাইন্ডি-এর ঘনত্ব (ফাঁক বা দূরত্ব) ৩০০ এম. এম. দেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে দায়িত্বরত সালাম মিয়া বলেন, এটা ২০০ এম. এম. হওয়ার কথা। তাও দেয়া হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢালাইতে কাজের শুরু থেকে লোকাল সেন্ট (বালি) দেয়া হয়েছে। অত্যন্ত নি¤œমানের খোয়া (কংক্রিট) ব্যবহার হয়েছে। কাজের স্থলে লোকাল সেন্ট ও নি¤œমানের খোয়া দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাম মিয়া বলেন, কিছু দুই নম্বর খোয়া আছে।
এটা কি সিডিউল সম্মত? এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, না, সিডিউলে এক নম্বর খোয়া দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। লোকাল সেন্ট-এর বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জনাননি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়ের পাটওয়ারী সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজের মানের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি পৌরসভার দুজন প্রকৌশলী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের প্রকৌশলীকে একত্রে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দেন।
এই বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্মাণ কাজ করছে। আমরা তদারকি করলেও সকল দায়দায়িত্ব তাদের।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করলেও পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের তদারকি করার দায়িত্ব রয়েছে।