• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঈদগাহে নয়, মসজিদে ঈদের নামাজ

মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ॥ উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না

প্রকাশ:  ১২ মে ২০২১, ১১:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর আঘাত থেকে সামাজিক, রাজনৈতিক আচার-অনুষ্ঠান যেমনি বাদ যায়নি, তেমনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিও বাদ যায়নি। বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ উপাসনার ক্ষেত্রেও। এই প্রভাব ঈদুল ফিতরেও পড়েছে। একসাথে ব্যাপক মুসল্লির সমাগম যাতে না ঘটে সেজন্যে এবারো ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত ৬ মে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন সংক্রান্ত জেলা প্রশাসনের সভায় সরকারের নির্দেশনা অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তসমূহ হচ্ছে : কোনো ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়া যাবে না, এ সবের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে, মুসল্লির সংখ্যা বিবেচনায় একাধিক জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে, জামাতের সময় আগেই মাইকিং করে মুসল্লিদের জানিয়ে দেবে, প্রয়োজনে পাড়া-মহল্লার মসজিদেও ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে, মসজিদে কোনো অবস্থাতেই কার্পেট বিছানো যাবে না, মুসল্লিরা জায়নামাজ সাথে করে নিয়ে যাবে, বাসা-বাড়ি থেকে অজু করে আসবে মসজিদে, মসজিদে অজুর জায়গায় সাবান রাখতে হবে, হ্যান্ডস্যানিটাইজার বা হ্যান্ডওয়াশ রাখতে হবে, সকল মুসল্লি মাস্ক পরে মসজিদে আসবে, নামাজ শেষে একে-অপরের সাথে কোলাকুলি ও করমর্দন থেকে বিরত থাকবে এবং কোনো অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকবে।
ঈদের জামাতে ইমাম নিযুক্তির বিষয়ে নির্দেশনা হচ্ছে-কোনো ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে না, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত করবে, ইমাম বা খতিব সাহেব কোনো ধরনের উস্কানি, বিতর্কিত, রাজনৈতিক বা অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখতে পারবেন না এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন। খতিব সাহেব আরবিতে যে খুতবা দিবেন তার সারমর্ম  আগে বাংলায় বয়ান রাখবেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনা মহামারী থেকে মানব জাতিকে রক্ষায় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাঁর রহমত কামনা করবে। সরকারি এসব নির্দেশনা স্ব স্ব মসজিদ কমিটি বাস্তবায়ন করবে।