ইভিএমে ভোট দেয়ার প্রশিক্ষণসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন
আজ চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন
ভোটার ১ লাখ ১৬ হাজার ৪শ' ৮৭ কেন্দ্র ৫২
বহুল আলোচিত ও জনপ্রত্যাশিত চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ ১০ অক্টোবর শনিবার। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে। পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ৫২টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪শ' ৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮,১৪৪ জন এবং নারী ভোটার ৫৮,৩৪৩ জন। ৫২টি ভোট কেন্দ্রের জন্যে ৩০৫টি বুথ বা ভোট কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ও নারী ভোটারদের জন্যে পৃথক বুথ রয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ এ পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিলো ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ। এবারো ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তফসিল ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ নির্বাাচনের ভোটের কিছুদিন আগে অর্থাৎ পুরো পৌর এলাকায় যখন ভোটের আমেজ বিরাজ করছিলো তখন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুর রহমান ভঁূইয়া হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে তখন নির্বাচনটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় দফা তফসিল অনুযায়ী আজকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে
এদিকে এবার চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএম-এ। আর এটাই চাঁদপুর পৌরসভার জন্যে প্রথম ইভিএমে ভোট। ইভিএমে ভোট হওয়াতেই ফলাফল পেতেও খুব বেশি দেরি হবে না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল প্রিজাইডিং অফিসাররা ঘোষণা তো করবেনই; সন্ধ্যার পর সদর উপজেলা পরিষদের হল রুম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেও ফলাফল ঘোষণা করা হবে
এদিকে ইভিএমে ভোট দেয়ার প্রশিক্ষণ ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা তথা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের একাধিকবার দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গতকাল শুক্রবার এবং আগের দিন বৃহস্পতিবার প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট গ্রহণের পূর্ব প্রস্তুতির রিহার্সেল দেয়াও হয়েছে। এর আগেও প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণের মাঝে ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি প্রকাশ্যে প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেনসহ নির্বাচন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমে আজকের ইভিএমে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গতকালকের মধ্যেই শেষ হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসের সার্বিক সহায়তার কারণেই এখন আর জনগণের মাঝে ইভিএম ভীতি তেমন একটা নেই। শান্তিপূর্ণ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ তোফায়েল আহমেদ।