• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

১১নং ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক

আমার দ্বারা পৌরসভার একটি টাকাও নষ্ট হবে না : জিল্লুর রহমান জুয়েল

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০২০, ২৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল ৭ অক্টোবর বুধবার দিনব্যাপী পৌরসভার ১১নং ওয়ার্র্ডে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করেছেন।
কর্মসূচির প্রথমে তিনি ১১নং ওয়ার্ডের উত্তর গুণরাজদী বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ নেতা মামুন গাজীর বাড়ির সম্মুখে উঠোন বৈঠক করেন। এরপর তিনি ওই এলাকায় গণসংযোগ শেষে আনোয়ারা ইসলাম দাখিল মাদ্রাসায় উঠোন বৈঠক, মস্তান বাড়ি ও নিউ ট্রাক রোডে গণসংযোগ, তাফু পাটওয়ারীর বাড়ি, এসডু পাটোয়ারীর বাড়ি, খলিফা বাড়ি, হাওলাদার বাড়ি, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার বাড়ি, মধ্য ইচলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এবং মধ্য ইচলী মিজান বেপারী বাড়িতে উঠোন বৈঠক করেন।
এ সকল উঠোন বৈঠক ও গণসংযোগকালে অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, এ গুণরাজদী বা ১১নং ওয়ার্ডটি আমার অনেক স্মৃতিবহুল এলাকা। পার্শ্ববর্তী এলাকায় আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে এ দলটিকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে চাঁদপুরে এ সংগঠনটিকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়ে ধরে রেখেছেন তাঁদের মধ্যে বেশ ক’জন কিংবদন্তি নেতা এ ওয়ার্ডের। অতএব আমি মনে করি, এ ওয়ার্ডটি আওয়ামী লীগের একটি ঘাঁটি এবং আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। সে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ যে নৌকায় আমরা স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র পেয়েছি, যে নৌকায় উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আসন্ন চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে সেই নৌকা প্রতীককে নিয়ে আপনাদের সন্তান আপনাদের কাছে এসেছে।
তিনি বলেন, আমি এজন্যে সৌভাগ্যবান যে, আপনাদের সন্তানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি আরো সৌভাগ্যবান, আমার ছোটবেলা থেকে আপনাদের এ এলাকায় বড় হয়েছি। তাই এটি আমার নিজ এলাকা মনে করি। সে মতে আমি আপনাদের সন্তান। অতএব আপনাদের সন্তানের মুখে হাসিতো আপনাদের মুখে হাসি। তাই আপনাদের সন্তানকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্যে নৌকায় আস্থা রেখে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রতীককে আগামী ১০ অক্টোবর বিজয়ী করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ ওয়ার্ডটি পুরানো হলেও পিছিয়ে রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে পৌরসভার নাগরিক সুুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবো। নাগরিক সুবিধা থেকে পৌরবাসী বঞ্চিত হবেন না। আমাদের পৌরসভার অনেক রাস্তা ইউনিয়নের রাস্তার চেয়েও অনেক খারাপ।
তিনি বলেন, আমি সচেতনতার মধ্যে এবং সততার সাথে জীবনযাপন করে আসছি। অতএব, আমার দ্বারা পৌরসভার একটি টাকাও নষ্ট হবে না। পৌরসভার কাজের মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমি দলের মনোনীত প্রার্থী হলেও আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমি কোনো দলের নয়, পৌরবাসীর মেয়র হবো।
তিনি আরও বলেন, আমার পিতার বয়স ৯৫ বছর। তিনি শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬৯ সালে তিনি চাকুরি ছেড়ে দেন। তারপর তিনি পুরাণবাজারে ব্যবসা শুরু করেন। ১শ’ ২৪ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী এ চাঁদপুর পৌরসভা। তাই এ পৌরসভা পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চাঁদপুর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি সংসদে প্রস্তাবনা দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে এই চাঁদপুরকে নান্দনিক পর্যটন ও ব্যবসায়ী নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠককালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের পাটওয়ারী, তাফাজ্জল হোসেন তাফু পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, যুবলীগ নেতা নাজমুল পাটওয়ারী, ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, মহিলা কাউন্সিলর আয়শা রহমান, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বজু মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন পাটোয়ারী, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া কামরুল হাসান কাউছার, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম গাজী, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ নেতা মামুন গাজী, সাবেক যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান ফারুক, জলকাদের ভূঁইয়া, দিলারা খানম, আলমগীর পাটওয়ারী প্রমুখ।

 

সর্বাধিক পঠিত