গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে সক্ষম
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনার 'ব্যানকোভিড' ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে সক্ষম। প্রাণঘাতী কোভিড-১৯-এর টিকা উন্নয়নে সাফল্যের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত বিশ্বে এই প্রথম ডি ৬১৪জি ভ্যারিয়েনটস এমআরএনএ-ভিত্তিক ভ্যাকসিন 'ব্যানকোভিড' করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানিয়েছে মার্কিন মেডিকেল জার্নাল বায়োআর্কাইভ। এ বিষয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ভ্যাকসিনের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
সমপ্রতি প্রাণিদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা জানান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মানদ-ে শতভাগ উৎরে গেছে টিকাটি। তারপরেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়।
এর আগে, গেলো ২ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। সে সময় জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত গবেষণা কেন্দ্রে প্রাণিদেহের ওপর প্রথম ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। এরপর গবেষণার বাকি কাজ করা হয় রাজধানীর তেজগাঁও ল্যাবে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ রোগের টিকা আবিষ্কারের দাবি করে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে 'গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড' গবেষণার পাশাপাশি কোভিড-১৯ 'শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ' আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণাও শুরু করেছে তারা।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্যে বায়োলজিঙ্, নভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।