• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন

প্রকাশ:  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। আর এই নিভৃত পল্লীতেই ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। ডাক নাম হাসু। পিতা বঙ্গবন্ধু আদর করে এই নামেই ডাকতেন তাকে। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে, বাইগার নদীর তীরে, টুঙ্গীপাড়ায়।
ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পরপরই ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারে শেখ হাসিনার জন্ম। শৈশব থেকেই তিনি দেখেছেন তাঁর পিতা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, সংগ্রামী জীবন এবং দেশ ও গণমানুষের রাজনীতি। যুক্ত হয়েছেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনসহ বাঙালির অধিকার আদায়ের সকল লড়াই-সংগ্রামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামী, সাহসী। জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চলার পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। শহীদ হন তাঁর মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ অনেক আপনজন। এ সময় তিনি ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। মা, বাবা, ভাইসহ আপনজনদের হারানো বেদনাকে বুকে ধারণ করে পরবর্তীতে ছয় বছর তাঁকে লন্ডন ও দিল্লীতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলাসহ বহুবার শেখ হাসিনার ওপর হামলা হয়েছে। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতই তাঁকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেছে।
১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এটি ছিল এক অনন্য মাইলফলক। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্বজন হারানো বেদনা বুকে নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ’৯০-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়, বিজয় হয় গণতন্ত্রের।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এ সময় তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় আসে। তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন সারাদেশের যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করবে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। সেই সাথে দিনব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ; দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে বাবুরহাট সরকারি এতিমখানায় এতিমদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।
এছাড়া শহরের প্রধান প্রধান মসজিদে বাদ আসর দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
দলীয় এসব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পালন করা হবে।
উক্ত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী তথা সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল আহ্বান জানিয়েছেন।

 

সর্বাধিক পঠিত