• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রতিকূলতা ঠেলেই উদযাপিত হলো ঈদুল আযহা

প্রকাশ:  ০২ আগস্ট ২০২০, ২১:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনা ভাইরাস ও বন্যার প্রতিকূলতা ঠেলেই ঈদ উদযাপন করছে মানুষ। প্রতিকূলতা থাকলেও ঈদের আনন্দে নিজেদের রঙিন করার চেষ্টার অন্ত নেই কারো। সাধ্য অনুযায়ী পোলাও, কোর্মা, রেজালা, রোস্ট, খিচুড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নাস্তা, পিঠা-পুলির আয়োজন ঘরে ঘরে।

সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত শেষে মোনাজাতে করোনা থেকে মুক্তির আকুতি করেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।

মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব ও বাংলাদেশজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার গুনাহ মাফ ও মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।

করোনা ভাইরাসের কারণে এবারও রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। গত ঈদুল ফিতরের পর এবারও ঈদুল আজহায় মুসল্লি ছিল দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ শোলাকিয়া। বৈশ্বিক মহামারি করোনা বদলে দিয়েছে শত বছরের ইতিহাস। করোনা বিস্তার রোধে খোলা মাঠ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন। তাই নিজ নিজ এলাকার মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের প্রায় সব খানে।

তবে এই নিয়ম ভেঙে বেশ কয়েক জেলায় ঈদগাহে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে কোরবানির পশু জবাই শেষে এখন কাটাকাটি ও মাংস বিতরণ চলছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই দেখা দিয়েছে বন্যা ও নদীভাঙন। দেশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫০টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ৯৩৬টি। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১০ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যেই ঈদ আনন্দ পালনে ব্যস্ত হয়ে দেশবাসী। কোরবানির পশু কিনতে ছুটছেন হাটে। বড়রা তেমন কেনাকাটা না করলেও সন্তানদের জন্য নতুন পোশাক কিনছেন।