ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে করোনা টেস্ট শুরু
প্রথম দিনে ২১ স্যাম্পলে ৫ পজিটিভ একমাস নমুনা পরীক্ষার কীট মজুদ আছে : সিভিল সার্জন
শুরু হয়ে গেলো চাঁদপুরে করোনা শনাক্তকরণ টেস্ট। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে করোনা শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। চাঁদপুর শহরের নতুনবাজারস্থ কদমতলা এলাকায় ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে এখন করোনা তথা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে। গতকাল ২১ জনের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্যে এই ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ২১টি স্যাম্পলই ছিলো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের দেয়া স্যাম্পল। রাত ১০টার মধ্যে এই স্যাম্পলগুলোর ফলাফল প্রকাশিত হয়, যাতে ৫ জনের করোনা পজিটিভ হয়। এছাড়া জেলার অন্য কোনো উপজেলার স্যাম্পল গতকাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। আজ বুধবার উপজেলায় সংগ্রহকৃত নমুনাগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে। এসব তথ্য জানালেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।
সিভিল সার্জন বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং তাঁর বড় ভাইয়ের বদান্যতায় আমরা চাঁদপুরেই এখন করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে পারছি। এখন আর আগের মতো নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না। দিনের রিপোর্ট মানুষ দিনেই পেয়ে যাবে। তিনি জানান, দুপুরের মধ্যে ল্যাবে নমুনা পৌঁছে গেলে ওইদিন রাত ১০টার মধ্যেই রিপোর্ট পেয়ে যাবে সংশ্লিষ্টরা। আজকে (গতকাল) থেকে চাঁদপুরে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলো। ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে এখন চাঁদপুর জেলার মানুষের করোনা শনাক্তকরণ টেস্ট চলছে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে ২৪শ' কীট বর্তমানে মজুদ আছে। যা দিয়ে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে এক মাসের নমুনা পরীক্ষার কাজ চালানো যাবে। প্রায় এক মাসের মতো পরীক্ষা চালানোর জন্য কীট মজুদ করার ক্ষেত্রেও আমাদের শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের অসামান্য অবদান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে এই ল্যাবরেটরিটি স্থাপিত হয়। ল্যাবটি চালু হওয়া পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকেই সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় হয়। তবে ল্যাবটি ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগ স্থাপিত হয়। আর এই ল্যাব স্থাপনে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) সক্রিয় ভূমিকা একেবারে শুরু থেকে ছিলো এবং বর্তমানে ল্যাবটি চালু হওয়ার পরও সিভাসুর সহযোগিতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এজন্যে সিভাসুর প্রতি এবং এর ভিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড।
এদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরির সাতজন কর্মকর্তা এবং টেকনিশিয়ান চাঁদপুরে ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ পিসিআর ল্যাবে এখন করোনা শনাক্তকরণে পরীক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন। এই সাতজনের টিম লিডার হচ্ছেন ডাঃ ত্রিদিপ দাস। অন্যরা হচ্ছেন ডাঃ চন্দন নাথ, ডাঃ মোক্তাদির বিল্লাহ রেজা, ডাঃ সাদিয়া জিন্নুরাইন, ডাঃ আবু জোবায়ের তানজিন, ডাঃ রায়হান খান নাঈম ও রাজিয়া সুলতানা।