করোনা কেলেঙ্কারীর হোতা রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ গ্রেফতার
অবশেষে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) হাতে ধরা পড়লেন।
আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বুধবার ভোরে র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করা হয়। সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৮ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন সাহেদ করিম। এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র্যাব। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) হাতে ধরা পড়েছেন। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বোরখা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পালিয়ে থাকতে চুলের কালো রং করে এবং গোঁফ কেটে তিনি চেহারা বদলের চেষ্টা করেন। ভারতে পালিয়ে গিয়ে সাহেদ আত্মগোপন করতে মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা।
বোরকা পরা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে
সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় মাছের ঘেরে লুকিয়ে ছিলেন সাহেদ। ভোর পাঁচটার দিকে দেবহাটা থানার লবঙ্গপতি গ্রাম থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতারের পর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হচ্ছে। ঢাকায় আনার আগে ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পালিয়ে থাকার সময় তিনি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করেন। বোরখা পরে নৌকায় ওঠার আগ মুহূর্তে ধরা পড়েন। সাহেদকে গ্রেফতারে কর্নেল তোফায়েল আহমেদ নেতৃত্বে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাসেমসহ র্যাব ৬-এর একটি দলের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়।
নৌকায় করে ভারতে পালাচ্ছিলেন সাহেদ
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত প্রধান পলাতক আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার ভোরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটার রামগতি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাঁখরা কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান দিয়ে নদী পেরিয়ে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করছিল। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়ত তাকে পাওয়া যেত না।
সাতক্ষীরার স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, সাহেদের বাড়ি সাতক্ষীরা হলেও তার পৈত্রিক ভিটা ওপারে ভারতে। তাকে ইছামতি নদীতে নৌকায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলে র্যাব। সাহেদ নদী পেরিয়ে পূর্বপুরুষের ঠিকানা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল। যে এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয় সেটি ভোমরা স্থলবন্দরের কাছাকাছি। এই এলাকার ওপারে ভারতের বশিরহাট জেলা। এর আগেও এভাবেই একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন সাহেদ।
ঢাকায় আনা হয়েছে গ্রেফতার হওয়া সাহেদকে
রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতার করে ঢাকায় এনেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাহেদকে নিয়ে র্যাবের হেলিকপ্টারটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
লুকিয়ে থাকতে চুলের কালো রং করে এবং গোঁফ কেটে তিনি চেহারা বদলের চেষ্টা করেন। ভারতে পালিয়ে গিয়ে সাহেদ আত্মগোপন করতে মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা।
আজ ভোরে সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় মাছের ঘেরে লুকিয়ে ছিলেন সাহেদ। ভোর পাঁচটার দিকে দেবহাটা থানার লবঙ্গপতি গ্রাম থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকায় আনার আগে ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পালিয়ে থাকার সময় তিনি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করেন। বোরখা পরে নৌকায় ওঠার আগ মুহূর্তে ধরা পড়েন।