ঈদের আগে যেন সবাই কেনাকাটা করতে পারে সে ব্যবস্থা হচ্ছে
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে ঈদের আগে যেন সবাই কেনাকাটা করতে পারে সেদিকেও সরকার লক্ষ্য রাখছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাই কেনাকাটা করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সোমবার (৪ মে) সকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করা হয়।
সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে এবং সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আছেন। সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি এটার প্রভাব পড়বে আগামীতেও। আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পরিস্থিতিকে মহামারি ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছিলাম, জাতি যখন এর সুফল পেতে শুরু করেছিল হঠাৎ করে আঘাত আসলো। এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে যেহেতু এসেছে স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে মুখে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্ক সবসময় ব্যবহার করা একান্তভাবেই জরুরি।
তিনি বলেন, রমজান মাসে যেন লোকজন চলতে পারে সেজন্য রোজার সময় দোকানপাট খোলা রাখা, ইফতারের দোকান যেন চলতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রেখে চালু রাখার জন্য বলেছি। জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্প রয়েছে, সেগুলো চালুর নির্দেশনা দিয়েছি। মানুষকে সুরক্ষিত রেখে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রেখে যেন সেভাবে পরিচালিত হতে পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, অফিস-আদালত সীমিত আকারে চালু করে দিচ্ছি, যেন মানুষের কোনো কষ্ট না হয়।
তিনি বলেন, যারা ধনী দেশ, অগাধ সম্পদ তারাও করোনাভাইরাসের কাছে ব্যর্থ। একটা শক্তিশালী ভাইরাসের কাছে কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধন-সম্পদ অর্থ কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধনী-গরিব সবাই একাকার হয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।