দেশে করোনা প্রাণ কাড়ল আরও ৭ জনের, আক্রান্ত বেড়ে ২৪৫৬
আজ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩১২ জন
মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ জনে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৪৫৬ জনে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, তার সঙ্গে ছিলেন অধিদফতরের এমআইএস পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান খান। নিজের বাসা থেকে এতে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৩ হাজার ৮২৫ জনের। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৩১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৫৬ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯১ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৭৫ জন।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সাড়ে ২৩ লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার। তবে ছয় লক্ষাধিক রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৪৫৬। মারা গেছেন ৯১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।