• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনা আতঙ্কে জনমানবশূন্য চাঁদপুর শহর ॥ সব কিছু স্থবির

প্রকাশ:  ২৬ মার্চ ২০২০, ১৪:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শহরে নেই কোনো ধরনের যানবাহন। নেই কোনো জনমানব। সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল, ছোটখাটো দোকান, এমনকি হোটেল রেস্তোঁরাও বন্ধ। সড়ক, মহাসড়ক এবং শাখা সড়ক সব ফাঁকা। কোনো যানবাহন তো দূরের কথা মানুষজনও নেই রাস্তায়। স্মরণাতীতকালে কোনো হরতালেও যানবাহনশূন্য ও জনমানবশূন্য শহর দেখা যায় নি। গতকাল বুধবার এই পরিস্থিতি দেখা গেলো চাঁদপুর শহরে। আর গতকালই শেষ নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেখা যাবে এ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি বড় কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল বা সরকার বিরোধী বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির কারণে নয়। ‘করোনা ভাইরাস’ নামে বিশ্বব্যাপী মহামারী আতঙ্কের কারণে। তাই তো মানুষজন বলছে, করোনার হরতালের কাছে সব হরতাল হার মেনেছে।
বাংলাদেশসহ বিশে^র প্রায় ১৮০টি দেশ করোনায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে এটি যাতে মহামারী আকার ধারণ না করে সে জন্যে সরকার সতর্কতামূলক ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও মানুষকে যখন ঘরবন্দী করা যাচ্ছিল না, তখনই সরকার মাঠে সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। সিভিল প্রশাসনের পাশে থেকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। এখানেই শেষ নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ম্যাসেজ আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামে। সন্ধ্যায় তারা শুধু কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। একইভাবে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। রাতে জেলা প্রশাসক থেকে জরুরি ঘোষণা দেয়া হয়, কোনো মানুষ যেনো একেবারেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না নামে। গতকাল বুধবার থেকে রাস্তায় কোনো ধরনের সিএনজি অটোরিকশা এবং অটোবাইক চলাচল করবে না। ঔষধের দোকান, কাঁচা বাজার এবং খাবার দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সরকারের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গতকাল সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় খুব কঠোর ভূমিকায় ছিলো। পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্য এবং ব্যাটেলিয়ন আনসার সদস্যরাও মাঠে ছিলো সক্রিয়। তাদের তৎপরতায় কোনো মানুষ রাস্তায় নামতে সাহস পায় নি। সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। কোনো ধরনের যানবাহন রাস্তায় নামে নি। বিশেষ প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় নামলেও তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর সন্ধ্যার পর তো পুরো শহর যেনো ছিলো ভুতুড়ে পরিবেশ।