পরে তিনি গোপালগঞ্জ শহরে দত্ত মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামে একটি দোকানের রসগোল্লা ও সন্দেশ খেয়ে প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি সেখান থেকে ৩০ কেজি সন্দেশ কিনে নিয়ে যান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “দত্তর মিষ্টি সুস্বাদু। লোভনীয়।”
দত্ত মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক বাবলু দত্ত জানান, হঠাৎ করেই রাষ্ট্রদূত গাড়িবহর নিয়ে তাদের দোকানে আসেন। রাষ্ট্রদূত মিলার, তার স্ত্রী ও সফরসঙ্গীরা মিষ্টি খান। তারা দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও তোলেন রাষ্ট্রদূত।
দোকানের অপর মালিক চান্দু দত্ত বলেন, “রাষ্ট্রদূত সুযোগ পেলে আবার এই দোকানে এসে মিষ্টি খাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রদূত টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, “প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।”
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। শুক্রবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় সেখানে ক্যাথলিক চার্চের বরিশাল বিভাগের বিশপ লরেন্স সব্রত হাওলাদার, ফাদার লাজারুচ গোমেজ, বিভুদান বৈরাগী ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “এই জায়গা ভিজিট করেছি এবং সবকিছু দেখেছি। এটা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান। ধন্যবাদ জানাই সুন্দর করে এখানকার ইতিহাসসহ সবকিছু জানানোর জন্য। যে ঘটনা এখানে ঘটেছে, আমেরিকান প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও শোক প্রকাশ করি।”
এরপর সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।