বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের স্মরণসভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
অবৈধভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের নয় বছর পর গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন এরশাদ। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও ছিলেন তিনি।
রাঙ্গাঁ বলেন, “আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারণে এরশাদকে ক্ষমতা ছাড়তে হয় এরশাদ সাহেব বিমান বাহিনীর জন্য পাকিস্তান থেকে বিমান আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটার কারণে রাজীব গান্ধী এরশাদকে মিথ্যাবাদী বললেন, করলেন ষড়যন্ত্র।
“পরে তিনি (রাজীব গান্ধী) তার জীবন দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করে গেছেন।”
স্মরণ সভার প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “যে যতই সমালোচনা করুন, এরশাদের মৃত্যুর পর তার জানাজায় জনসমাগম প্রমাণ করে, জীবিত এরশাদের চেয়ে মৃত এরশাদ বেশি শক্তিশালী।"
এরশাদের মৃত্যুর পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তার ভাই কাদের।
তিনি বলেন, “এখন দেশের মানুষ নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চায়। এখন তাদের প্রত্যাশামতো রাজনীতি করতে হবে আমাদের।"
সভায় রাঙ্গাঁ বলেন, "রওশন এরশাদ এখন জি এম কাদেরকেই চেয়ারম্যানের আসনে দেখতে চান। আজকে সকালেও কথা হয়েছে তার সাথে। তিনি বলেছেন, কাদের আছে, সে দল চালাবে।"
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে যারা রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে 'ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান' তাদের ‘শায়েস্তা’ করতে চাইছেন রাঙ্গাঁ।
“আমি তাদের কাট টু সাইজ করতে চাই। আমি এটা ভালো পারি। আমি কোনোভাবেই দল বিভক্ত হতে দেব না।”
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। বক্তব্য দেন সাহিদুর রহমান টেপা, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল।