• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সন্তান জন্ম দিলেও পরপারে চলে গেলেন মা

চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যু

প্রকাশ:  ৩০ জুন ২০১৮, ১১:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের নতুনবাজারস্থ যমুনা হাসপাতালে অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ থাকাবস্থায় অপারেশন করায় প্রসূতি ফাতেমা আক্তার লুবনার (২২) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২৯ জুন শুক্রবার দুপুরে লুবনাকে যুমনা হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।


নিহত ফাতেমা আক্তার লুবনা সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ওমান প্রবাসী নাছির উদ্দিন গাজীর স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খানের কন্যা।

নিহতের পিতা দেলেয়ার হোসেন খান ও ফুফু লতুফা বেগম বলেন, ফাতেমার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে গাইনী চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা বেগমের কাছে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি জানালেন, মায়ের গর্ভে বাচ্চা বড় হয়েছে। দ্রুত তাকে অপারেশন করাতে হবে। তারা সেজন্যে লুবনাকে যমুনা হাসপাতালে নিয়ে যান। তাকে নরমাল ডেলিভারি রোগী হিসেবে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরমার্শ করে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সিজারের পূর্বে তার উচ্চ রক্তচাপ (হাইপ্রেসার) ছিলো।

এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ বলেন, লুবনার সিজারিয়ানের পূর্বে রক্তচাপ ৯০/১৪০ ছিলো। অপারেশন শেষে অঙ্েিজন দেয়া হলে ৯০ তে নেমে আসে। পরবর্তীতে তার হার্ট বস্নক হয়ে যাওয়ার কারণে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, সকাল ১১টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা বেগম ও এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ ইলিয়াছ লুবনার সিজার করেন। এতে লুবনা একটি কন্যা শিশু জন্ম দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে লুবনার জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা রেফার করলে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তাকে আবার যমুনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতালের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, লুবনার সিজারের সিদ্ধান্ত চিকিৎসকরাই নিয়েছেন। তারাই কুমিল্লা রেফার করেছেন। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা চিকিৎসকরাই ভালো জানেন।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিহতের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ করা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত