• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছাড়ছে লঞ্চগুলো

প্রকাশ:  ২২ জুন ২০১৮, ১১:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ করছে লঞ্চগুলো। এতে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও নারী যাত্রীদের। ঈদের পর গত মঙ্গলবার থেকে যাত্রী বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর কথা স্বীকার করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোতে স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চগুলো। সকাল থেকে এমভি সোনারতরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এ রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর জেলাসহ পাশর্^বর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশিক মানুষ এখন এ রূটে যাতায়াত করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমুখী মানুষগুলো নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছেন।
    লক্ষ্মীপুর থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ নিয়াজ জানান, সিডিউল সময়ে ও নিয়মানুযায়ী লঞ্চগুলো আগের তুলনায় অধিক যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে। প্রতি ঘন্টায় লঞ্চ রয়েছে। সে কারণে আমরা ইচ্ছে করেই ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠছি না। ঢাকাগামী আরো কয়েকজন যাত্রী বলেছেন, কর্মস্থলে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঢাকায় যাবেন না। প্রয়োজনে পরবর্তী লঞ্চে যাত্রা করবেন। তারপরেও ঝুঁকি নিবেন না। কারণ সময়ের চাইতে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যাতে কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে না যেতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্র্ক। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ বেড়েছে মঙ্গলবার থেকে। এ ঘাটের যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্কাউট সদস্যসহ আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
    কর্মমুখী মানুষ ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যেন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে না পড়েন সে বিষয়ে লঞ্চ মালিক ও বিআইডাব্লিউটিএর দায়িত্বরতদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে সুধীজন মনে করেন।

 

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ

সর্বাধিক পঠিত