শোকার্ত মানুষের আহাজারিতে অধ্যক্ষ ফেন্সির শেষ বিদায়
দুই দফা জানাজা শেষে বাবা-মার কবরের পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি। স্বজনদের গগণবিদারী কান্না আর শোকার্ত মানুষগুলোর আহাজারিতে গতকাল বুধবার রাতে অধ্যক্ষ ফেন্সিকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
মরহুমার প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বাদ আসর চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডস্থ বাহের খলিসাডুলি গ্রামে অবস্থিত ১০৯নং ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এরপর রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় মরহুমার সর্বশেষ জানাজা। এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নিহত অধ্যক্ষ ফেন্সির পৈত্রিক পুরাণ বাড়ির নিকটস্থ মৈশাদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এই জানাজা শেষে স্কুল সংলগ্ন খান বাড়ির (ফেন্সিদের পৈত্রিক পুরাণ বাড়ির) পরিবারিক কবরস্থানে তাঁর বাবা-মার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। জানাজায় মরহুমার আত্মীয়-স্বজনসহ হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।
অধ্যক্ষ ফেন্সি গত ৪ জুন সোমবার রাতে নিজ বাসায় খুন হলেও প্রায় তিনদিন যাবৎ লাশ হিমায়িত গাড়িতে রেখে দেয়া হয় তার বড় মেয়ে পদ্ম স্বামী-সন্তান নিয়ে ইতালি থেকে আসার অপেক্ষায়। গতকাল সন্ধ্যায় তারা চাঁদপুরে তাদের নানার বাড়িতে এসে পৌঁছেন। পদ্ম বাড়িতে পৌঁছার পর এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার বুকফাটা আর্তনাদে পুরো পরিবেশ শোকার্ত হয়ে উঠে। পদ্ম ও ছোট বোন পুষ্পের একে অপরকে জড়িয়ে সে কী বুকফাটা কান্না! তখন সেখানে উপস্থিত শত শত নারী-পুরুষ, আত্মীয় স্বজন শুধু বিলাপ করেছে। তারা এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এরপর রাত ৯টার পর যখন মরহুমার লাশবাহী গাড়ি জানাজার নামাজস্থলের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন ছিলো এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। চারদিকে শুধু কান্নার রোল। সবশেষে মরহুমার শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চিরস্থায়ী আবাস কবরের উদ্দেশ্যে।