জামায়াত আমির-সেক্রেটারি রিমান্ডে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমেদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সেক্রেটারি জেনারেল শফিউর রহমানকে পুরনো দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাতে উত্তরা থেকে আটক নয়জনের মধ্যে এই তিনজনসহ আটজনকে মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পুরনো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার ওসি সাজু মিয়া প্রতিটি মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম গোলাম নবী আসামি পক্ষের আবেদন নাকচ করে জামায়াত নেতাদের পাঁচ দিন হেফাজতের আদেশ দেন।
এই জামায়াত নেতারা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আমির মো. শাহজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির জাফর সাদেক, মো. নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম (৪২)।
উত্তরার একটি বাড়ি থেকে জামায়াত আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ সোমবার রাতে জানিয়েছিল। তার মধ্যে বাড়িওয়ালা নওশের আলীও ছিলেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম এবিষয়ে বলেন, জামায়াতের এই নেতাদের বৈঠকের সঙ্গে বাড়িওয়ালার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের সময় জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক’কে কারণ দেখিয়েছিল পুলিশ।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এত দূরে কদমতলী থানার দুই মামলায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
আসামিদের নাম এজহারে নেই, ঘটনার সময় কেউ কেউ দেশের বাইরেও ছিলেন। এর আগে এই মামলায় যারা রিমান্ডে গেছে, তারা এই আটজন কারও নাম বলেনি।
আসামিদের বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তাদের কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী রাজ্জাক।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী দাবি করেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিব ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম মাসুম