• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সরকার কারসাজি করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়েছে: ফখরুল

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৩৮ | আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সরকার কারসাজি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর ক্ষুদ্ধ সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে সমস্ত কাজ করছে। প্রধান বিচারপতির ছুটি সম্পর্কে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে কারসাজি করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিচ্ছে সরকার। তার অপরাধ একটা তিনি সত্য কথা বলেছেন, তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকালে এক স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ঐতিহাসিক শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষ্যে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণঅভ্যূত্থানের বীর শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৭তম শাহাদাৎ বাষির্কী’র আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কিছুদিন পর প্রধান বিচারপতি এক মাসে ছুটিতে গিয়েছেন। ফিরে এসে দায়িত্বে বসতে পারলেন না। তাকে আবারো ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের নিজের পাযে দাঁড়াতে হবে, অনেক বিপদ আসবে, অনেক ত্যাগ শিকার করতে হবে। অসংখ্য মামলা দেয়া হয়েছে। আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমাদের অনেক ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে, আমরা ভূলে যাব না। ভবিষ্যতে বিজয় অর্জন করতে সবাইকে এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের প্রত্যয়কে শক্তিশালী করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে অপশক্তিকে পরাজিত করার অঙ্গিকার করতে হবে।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওরা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয়। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে তাহলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সেভাবে নির্বাচন দিতে চায় না। তারা ফুটবল খেলার মত খালি মাঠে ডিব্লিং করে গোল দিতে চায়।

তিনি বলেন, আমাদেরকে সরকারের ভয়াবহ নীলনকশা নস্যাৎ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। কেউ এসে আমাদের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে যাবে না। আমাদেরকেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই কোথায় সমস্যা তা চিহ্নিত করে জনগণের কাছে যেতে হবে। শুধুমাত্র প্রেসক্লাবের আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করে যেতে হবে।

১৯৭১ সালের যা কিছু অর্জন তা চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সব আন্দোলনেই ছাত্রদল আন্দোলন জড়িত। ৯০ এর গণআন্দোলনও ছাত্ররা জড়িত ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে শাসক দলের নির্যাতন ভিন্ন । কাজেই আমরা ৯০ এর চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ৯০ এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফুর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান এবং শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের বড় ভাই কে এম বশির প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত