• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নোবেল তো কপালে জুটল না: গয়েশ্বর

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৫ | আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
প্রিন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, নোবেল তো কপালে জুটল না। তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিল, সাহিত্যে না পেতে পারেন, অর্থনীতিতে না হোক, চিকিৎসায় না পান, শান্তিতে না পেলেও গুমের জন্য তাকে নোবেল দেয়া যেত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য হলেও তাকে নোবেল দেয়া উচিত ছিল।
 
তিনি বলেন, নোবেল কমিটি যদি জানতে পারত তাহলে তাকে একটা নোবেল তো দিতোই। বহু দোকান আছে, অনেক নোবেল পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসন ও নাগরিক অধিকার শীর্ষক এক আলোচনাসভায় তিনি এ সব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
 
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বলে যারা ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছেন, তারাও একদিন আপনাকে ছুটিতে পাঠাবে।  গতকালের মতো তিনি আজও প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, 'উনি (প্রধান বিচারপতি) অসুস্থ, কিন্তু কই গেলেন? ঢাকেশ্বরী, গেলেন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাম্বাসিতে (দূতাবাস), সরকারের ফরমায়েশ লোকেরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হলো না।
 
‘প্রধান বিচারপতিকে যারা ছুটিতে পাঠিয়েছে, তারা আপনাকেও ছুটিতে পাঠাবে। গোটা ব্যবস্থাটাই কিন্তু বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। ষোড়শ সংশোধনীর রায় তো সাতজন একসঙ্গেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে একসঙ্গেই স্বাক্ষর করেছেন, এস কে সিনহার ছুটি নিতে হয়, বাকি ছয়জনও ছুটি নেন না কেন? এস কে সিনহার জন্য জ্বলে, বাকিদের জন্য জ্বলে না?'
 
খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র প্রতিবাদ করতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে সব কিছু শেষের আগে অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে, মনে হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব কিছু লোকের দ্বারা আজ এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক কাজ করুন, অস্বভাবিক কাজ অস্বাভাবিকতা তৈরি করে।
 
আলোচনা সভায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ সভাপতি এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারন সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত