শেখ হাসিনাময় রাজধানী ঢাকা
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে শনিবার সকালে দেশে ফিরছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের জোরালো অবস্থান তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান প্রশংসিত হওয়ায় তাঁকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সাজানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। ফলে পুরো রাজধানী শহরই এখন শেখ হাসিনাময়।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মাদার অব হিউম্যানিটিকে স্বাগত জানাতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিভিন্ন বিলবোর্ড, পোস্টার, ফ্যাস্টুন শোভা পাচ্ছে পুরো শহর জুড়েই। বিশেষ করে তেজগাঁও, মহাখালী, কাকলী ও বিমানবন্দর সড়কে অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এক যৌথসভায় দলীয় সভাপতিকে গণসংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তাই তিনি দুনিয়ায় বিপন্ন মানবতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছেন। তাই জনগণের যে আকুতি নেত্রী দেশে ফিরে এলে দেশবাসীর পক্ষে বিশিষ্ট নাগরিকরা তাকে সংবর্ধনা দিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন। চলার পথে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে যানজটে বিঘ্ন না ঘটিয়ে সাধারণ মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানাবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সময়সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার বিকালে (বাংলাদেশ সময়) লন্ডন ছাড়ার কথা রয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ এলাকা থেকে শুরু করে বনানী, মহাখালী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরনি হয়ে গণভবনের দক্ষিণ পাশের গেট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে দাঁড়াবেন।
এরপর থেকেই কর্মসূচি সফল করতে আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, আমাদের টার্গেট হলো এক লাখ লোকের সমাগত ঘটানো। এজন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি আগামীকাল একটি সুশৃঙ্খল গণসংবর্ধনা আমরা উপহার দেব জননেত্রীকে।
আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বলেন, ‘গণসংবর্ধনায় যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিজয় সরনি থেকে সামরিক জাদুঘর এলাকায় অবস্থান করবেন। শুক্রবার সকালে বিমানবন্দর পরিদের্শন এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া গণসংবর্ধনা কোনো রাজনৈতিক শোডাউন নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা সফলভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়েনের রূপকার হিসেবেই এ সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
হানিফ বলেন, এ গণসংবর্ধনা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। এসময় তিনি যানজট এড়াতে নেতাকর্মীদের ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেন।