সেমিনারে কেন কাঁদলেন মওদুদ?
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বর্তমান করুণ অবস্থা তুলে ধরে কাঁদলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের এক সেমিনারে বক্তৃতার সময় তিনি এই কান্না করেন। ‘নগ্ন দলীয়করণে বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধান বিচারপতি রায়ে লিখেছেন- ভালো মানুষেরা আর ভালো স্বপ্ন দেখেন না। কারণ, খারাপ ও মন্দ লোকেরা এই সুযোগে বিভিন্নভাবে লুটপাটে ব্যস্ত আছেন। এসব কথা রায়ে লেখার কারণে আজকে তার (প্রধান বিচারপতি) এই অবস্থা।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি- তিনি (প্রধান বিচারপতি) নিজে থেকে ছুটি চাননি। তার কোনো সম্মতিও ছিল না। তিনি শেষ পর্যন্ত বলেছেন, আমার শরীর ভালো আছে, আমার কোনো ছুটির প্রয়োজন নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার আত্মীয়রাও দেখা করতে পারছেন না। আইনজীবীরা দেখা করতে গিয়েছিলেন, পারেননি। তার বাসার টেলিফোন লাইনও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটিয়েছে। এখন এও শোনা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতিকে নাকি বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
প্রধান বিচারপতির চিঠি ও স্বাক্ষর ভুয়া দাবি করে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কথা বলে তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। অথচ কিছু দিন আগেও তিনি কানাডা, জাপান ঘুরে এসেছেন। আর চিঠি যে ভুয়া, অল্প কয়েক লাইনে পাঁচটি ভুলই তার প্রমাণ। এমন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এত ভুলে ভরা চিঠি লিখবেন, এটা একটা অসম্ভব কাজ।
একই সেমিনারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,প্রধান বিচারপতি ছুটি নেননি। তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। বন্দুকের নল দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতিকে এভাবে গৃহবন্দি করা যায় না। এটি চরম গর্হিত কাজ।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া’র সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বন্ধ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শিক্ষাবিদ ড. সদরুল আমিন, সাংবাদিক আবদাল আহমেদ, শিক্ষক নেতা বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।