এ ঋণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ: অর্থমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে ঋণ চুক্তিকে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ বলে জানিয়েছন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ ঋণ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ভারত থেকে নেওয়া ক্রেডিট লাইনের প্রথম পর্যায়ের এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাস্তবায়ন পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবার তৃতীয় ধাপের ঋণ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত এ ঋণের অর্থ ব্যয় হবে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে।
তিনি আরো বলেন, এ ঋণের সুদ হার অনেক কম এবং ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে ভারতের অর্থমন্ত্রী মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন। তিনি জনিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অন্য দেশের জন্য মডেল হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এখন দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও অত্যন্ত চমৎকার। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছান। এ সময় তাকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ১০টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের অর্থমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সাড়ে চারশ কোটি ডলারের ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব এবং ভারতের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি ডলারের একটি ভারতীয় ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ চুক্তি সই হলে বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া সর্বমোট ক্রেডিট লাইনের পরিমাণ দাঁড়াবে আটশ কোটি ডলার। তৃতীয় ডলার ক্রেডিট লাইন চুক্তি সইয়ে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা অর্জন করবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রক্ষায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সংক্রান্ত একটি যৌথ ইন্টারপ্রেটিভ নোটও সই হওয়ার কথা রয়েছে।