৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার উত্তর ফিলিপাইনে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে। কম্পনের জেরে ক্ষয়ক্ষতি এবং আফটারশক সম্পর্কেও সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) গভীরতায় ছিল বলেও জানিয়েছে জিএফজেড। অন্যদিকে ফিলিপাইনের ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (ফিভোলকস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ইলোকোস প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাঙ্গুইতে আঘাত হেনেছে এবং ভূমিকম্পের পর আফটারশক ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও তারা সতর্ক করেছে। অবশ্য কম্পনের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বাঙ্গুই শহরের দুর্যোগ কর্মকর্তা ফিদেল সিমাতু বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পরীক্ষা করছে। সিমাতু টেলিফোনে আরও বলেন, “এটা তেমন শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু ঝাঁকুনিটা একটু দীর্ঘস্থায়ী ছিল।”
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে টানা তিনদিন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ফিলিপাইন। ওই তিনটি কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮, ৬ দশমিক ৪ এবং ৭ দশমিক ৬। প্রথম দফার ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। দেশটির সুরিগাও দেল সুর, দাভাও ওরিয়েন্টালের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুনামি সতর্কতা বাতিল করে বাসিন্দাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি দেয় দেশটির ভূকম্পবিদ্যা সংস্থা ফিভোলকস।
এর আগে ফিলিপাইনে সর্বশেষ ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি। আর ওই বছরেই জুলাইয়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভূমিধসে ১১ জন প্রাণ হারান। উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারে’ রয়েছে যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।