• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভারত : কাশ্মিরে নির্মাণ সাইটে হামলায় চিকিৎসকসহ নিহত ৭

প্রকাশ:  ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরে একটি নির্মাণ সাইটে হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন চিকিৎসক ও ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে কাশ্মিরের গান্ডারবাল জেলায় এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরের গান্ডারবাল জেলার গগনগিরে একটি নির্মাণস্থলে হামলাকারীদের গুলিবর্ষণে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে রোববার সরকারি সূত্র জানিয়েছে। কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ অ-স্থানীয় শ্রমিকদের ওপর হওয়া এই হামলাকে “জঘন্য ও কাপুরুষোচিত” বলে অভিহিত করেছেন।

রোববার রাতে কাশ্মিরের গান্ডারবাল জেলায় এই হামলার সময় শ্রমিকদের থাকার একটি ক্যাম্পে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে ৭ জনকে ঝাঁঝরা করে দেয় হামলাকারীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। আহত ও মৃত শ্রমিকরা একটি টানেল তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে বেসরকারি এক সংস্থার ওই ক্যাম্পে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালাতে শুরু করে হামলাকারীরা। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বুদগামের চিকিৎসক শাহনাওয়াজ। বাকি ৬ নিহত শ্রমিক হচ্ছেন- পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের গুরমিত সিং (৩০), বিহারের ইন্দর যাদব (৩৫), কাঠুয়ার জগতার সিং (৩০) ও মোহন লাল (৩০), কাশ্মিরের ফয়েজ আহমেদ লোন (২৬) ও জাহুর আহমেদ লোন।

এদিকে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “ভীরু ও কাপুরুষের মতো শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে সোনমার্গ এলাকায়। নিরস্ত্র এই নিরীহ শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। মৃতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাই।” ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলায় হতাহত শ্রমিকরা সাড়ে ৬ কিমি দীর্ঘ একটি টানেল তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। টানেলটি সোনমার্গ ও গান্ডারবালের গগনগিরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। যার ফলে পর্যটকদের সুবিধা হবে।

এছাড়া এই টানেল হয়ে গেলে সারা বছর কাশ্মিরের সঙ্গে কার্গিলের যোগাযোগ স্থাপনও করা যাবে। শ্রীনগর-লেহর মধ্যে যাতায়াতে সময় কম লাগবে।