ইরাকে পোপ ও আয়াতুল্লাহর ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
ইরাকের শিয়া মুসলিমদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিসতানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। শুক্রবার দেশটির নাজাফ শহরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইরাকের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা তারা বলেছেন। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক সফরে ইরাকে পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে এ সফরকে পোপের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এটিই পোপের প্রথম বিদেশ সফর এবং এই প্রথম কোনো পোপ ইরাক সফরে গেলেন।
আলি আল-সিসতানির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দুই ধর্মীয় নেতা তাদের আলোচনায় শান্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্র নাজাফ শহরে আয়াতুল্লাহ তার বাসভবনে পোপের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইরাকে ২০০৩ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার পর থেকে দেশটির সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা ব্যাপক সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বৈঠকে আল-সিসতানি পোপকে বলেন, ‘ইরাকের অন্য সব জনগণের মত খ্রিস্টান নাগরিকদেরও শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে এবং তাদের পূর্ণ সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে জীবন কাটাতে না পারার বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।’
ইরাকের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস একটি সময়ে দেশটির ‘সবচেয়ে দুর্বল এবং সবচেয়ে নির্যাতিত সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষ নিয়ে কথা বলার’ জন্য পোপ ফ্রান্সিস আলি-সিসতানিকে ধন্যবাদ জানান।
এ প্রসঙ্গে পোপ বলেছেন, ‘ইরাকের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব এবং সব মানুষের জীবনই যে পবিত্র ও মূল্যবান’ তা শিয়া নেতার শান্তির বার্তা নিশ্চিত করেছে।
আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিসতানির সাক্ষাৎ পাওয়া খুবই বিরল। তিনি মানুষজনের সঙ্গে সচরাচর দেখা করেন না। কিন্তু পোপের সঙ্গে তিনি প্রায় ৫০ মিনিট কথা বলেছেন এবং এ সময় দুজনের কেউই মুখে মাস্ক পরেননি।
ক্যাথলিক গির্জার ৮৪ বছর বয়স্ক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অনুভব করেছেন এই ‘প্রতীকী সফর’ করা তার ‘কর্তব্য’। চারদিনের ইরাক সফরে তিনি দেশটির বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করবেন।