ময়নাতদন্তে ফ্লয়েডের নাক থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভি’ এসেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
হেনিপিন কাউন্টির প্রধান মেডিকেল এক্সামিনার ডা. এন্ড্রু বেইকার জানিয়েছেন, ফ্লয়েডের নমুনার পিসিআর পরীক্ষায় তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
বেইকার বলেন, ময়নাতদন্তের যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে ফ্লয়েড করোনাভাইরাসের উপসর্গহীন বাহক ছিলেন বলেই মনে হয়েছে। তার মৃত্যুতে ভাইরাসের ‘জ্ঞাত কোনো ভূমিকা’ ছিল না।
২৫ মে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করার সময় ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে রাস্তার সঙ্গে প্রায় ৯ মিনিট চেপে ধরে রাখেন মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ফ্লয়েড শ্বাস নিতে পারছেন না বলে মিনতি জানালেও নিস্তার পাননি। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা ভিডিওতে ঘটনাটি ধরা পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ- যা গত নয় দিন ধরেই চলছে।
এর আগে গত ২ জুন প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেভাবে ফ্লয়েডে মৃত্যু হয়েছে, সেটা ‘হত্যাকাণ্ড’।
ওই ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।