• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনার কারণে স্থগিত হবে হজ? কী বললেন সৌদি মন্ত্রী

প্রকাশ:  ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৩:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হজের আনুষ্ঠানিকতা এ বছরের জুলাইয়ের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। তবে হজ পরিকল্পনার জন্য মুসলিম বিশ্বকে অপেক্ষা করতে বলেছে সৌদি আরব। মহামারি ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবসান না হওয়া’ পর্যন্ত হজ পরিকল্পনা বিলম্ব করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপরিচালিত টেলিভিশন আল-এখবারিয়ায় এ আহ্বান জানান সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মেদ সালেহ বিনতেন। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

 
 

করোনাভাইরাস যাতে সৌদির পবিত্র শহরগুলোতে (মক্কা-মদিনা) ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য চলতি মাসের শুরুতে বছরব্যাপী ওমরাহ স্থগিত করার ঘোষণা দেয় সৌদি। এমনকি সাময়িক সময়ের জন্য কাবা তাওয়াফও বন্ধ করে দেয়া হয়। আর এতেই চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে মুসলমানদের বার্ষিক এই ধর্মীয় ইবাদত।

সপ্তাহব্যাপী চলা ধর্মীয় এই ইবাদতে অংশ নিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মক্কা ও মদিনায় জড়ো হন প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম। এটা শুধু সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য শারীরিক ও আর্থিক ইবাদতই নয়, সৌদির একটি কাৎপর্যপূর্ণ আয়েরও উৎস। চলতি বছরের জুলাইয়ের ২৮ তারিখে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। শেষ হবে ২ আগস্ট।

সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘হাজি ও ওমরাহ পালনকারীদের বরণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে সৌদি। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির (মহামারি করোনাভাইরাস) কারণে আমরা মুসলিম ও দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। এজন্য আমরা বিশ্ব মুসলিম ভাইবোনদেরকে বলব, করোনা পরিস্থিতির অবসান (ক্লিয়ার) না হওয়া পর্যন্ত হজ পরিকল্পনা স্থগিত রাখুন।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি রাজপরিবার। ওমরাহ স্থগিতের পাশাপাশি বিদেশি যাত্রী বহনকারী বিমান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে মক্কা ও মদিনাসহ একাধিক শহরে বাসিন্দাদের প্রবেশ ও বহির্গমন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এই অবস্থায় সৌদি হজ বাতিল করলে তা হবে বর্তমান সময়ের জন্য এক বিরল ঘটনা। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ থেকে নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে-এমন উদাহরণও রয়েছে। সাম্প্রতিক (২০১৪ সাল) ইবোলা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় এমন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় সৌদি আরবকে।

সর্বশেষ সৌদিতে এ পর্যন্ত দেড় হাজার করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করা গেছে। মারা গেছেন ১০ জন। আর বিশ্বজুড়ে প্রাণ কেড়েছে ৪২ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ব্যক্তি করোনায় আকান্ত হয়েছেন।