• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার চায় ইরাকের পার্লামেন্ট

প্রকাশ:  ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার চায় দেশটির পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দুই দিনের মাথায় ৫ জানুয়ারি রবিবার এ প্রস্তাব পাস করলো ইরাকি পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

ইরাকে বর্তমানে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী, তাদের পরামর্শমূলক কাজে জড়িত থাকার কথা রয়েছে। রবিবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে এমপিরা ইরাক থেকে এসব মার্কিন সেনাকে প্রত্যাহারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদীও মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষে মতামত দেন।

 

আইএস বিরোধী লড়াইয়ে সহায়তার জন্য মার্কিন বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইরাক। রবিবার পাস হওয়া প্রস্তাবে সরকারকে ওই আমন্ত্রণ বাতিল করতে বলা হয়েছে। এতে সব ধরনের বিদেশি সেনার উপস্থিতির ইতি টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

পার্লামেন্টের আইন বিষয়ক কমিটির প্রধান আমার আল শিবলি বলেন, ‘দায়েশ (আইএস)-কে পরাজিত করার পর মার্কিন সেনাদের এখন আর আমাদের প্রয়োজন নেই। দেশ রক্ষায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে।’

ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করাই হবে ইরাকের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত।  

এদিকে ইরাকি নিরাপত্তা কর্মীদের মার্কিন ঘাঁটি থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইরাকের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ। শনিবার ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে স্থানীয় সময় রবিবার বিকাল পাঁচটা থেকে ইরাকি নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আর এদিনই মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাস করলো ইরাকি পার্লামেন্ট।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিসহ তার ১০ সহযোগীকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরাকজুড়ে ব্যাপক মার্কিনবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়।