পাঁচ দশক পর খুলে দেয়া হলো ফেরাউন স্নেফেরুর পিরামিড
মিশরীয় ফেরাউন স্নেফেরুর স্মৃতিতে তৈরি, প্রায় ৪,৬০০ বছরের পুরোনো ‘বেন্ট’ পিরামিড খুলে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য। দক্ষিণ কায়রোর প্রায় ১০১ মিটার উঁচু এই স্থাপত্য পিরামিড স্থাপত্য বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। স্নেফেরু খ্যাতনামা ফেরাউন রাজা। আরেক বিখ্যাত ফেরাউন খুফু তার সন্তান।
১৯৫৬ সালে খননের পর ‘বেন্ট’ পিরামিড পর্যটকদের জন্য খোলাই ছিল, কিন্তু মেরামতির প্রয়োজনে ১৯৬৫-তে সেটি বন্ধ করা হয়। এত বছর পর ফের ৭৯ মিটার লম্বা, সংকীর্ণ সুড়ঙ্গ পেরিয়ে ‘বেন্ট’ পিরামিডের ভিতরে ঢোকার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। এর পাশেই রেয়েছে ১৮ মিটার উঁচু আর একটি পিরামিড, সেটি সম্ভবত স্নেফেরুর স্ত্রী হেতেফেরেসের স্মৃতিতে তৈরি। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সেটিও।
দাহশুরের এই ‘বেন্ট’ পিরামিডের গঠনে রয়েছে বৈচিত্র্য। ৪৯ মিটার অবধি চুনাপাথরের সিঁড়ি, কিন্তু সেটির খাড়াই প্রায় ৫৪ ডিগ্রি! উত্তরে স্নেফেরুর লাল পিরামিডের সমান দেওয়ালের সঙ্গে এর কোনও সাদৃশ্যই নেই, বরং এর কৌণিক অবস্থানই নজর কাড়ে। তবে, ফাটল দেখা দেওয়ার পর ‘বেন্ট’ পিরামিডের কৌণিক অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছেন পুরাতাত্ত্বিকরা। মিশরীয় বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা ওয়াজিরির বক্তব্য, ‘এ বেন্ট পিরামিডের মধ্যেই কোথাও সম্ভবত স্নেফেরু সমাহিত রয়েছেন, কিন্তু কোথায়, সেটা আমরা খুঁজে পাইনি।’
তবে, বহু পুরোনো এই পিরামিড পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ, পর্যটনে উৎসাহ দেওয়া। কায়রোর প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণের দাহশুরে পর্যটকের পা প্রায় পড়ে না বললেই চলে, অথচ এখানেও বিস্ময় সৃষ্টিকারী বেশ কিছু স্থাপত্য রয়েছে। সেগুলিকে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ।