• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মহাকাশে রাত কাটাতে ৬ কোটি ডলার!

প্রকাশ:  ১০ জুন ২০১৯, ০১:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটানোর বিষয়টি এক সময় মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আগামী বছরই রূপ নিতে যাচ্ছে বাস্তবে। তাও মাত্র ৬ কোটি ডলারের বিনিময়ে! পর্যটকরা চাইলে মহাকাশে ভ্রমণ করতে পারবেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, পর্যটক হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা এবং আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট খরচ পড়বে পাঁচ কোটি আশি লাখ ডলার! নাসা আশা করছে, পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তারা মহাকাশে আরো গবেষণা এবং নতুন অভিযানে খরচ করতে পারবেন।

নাসা ঘোষণা করেছে, ২০২০ সাল হতে পর্যটকরা এবং ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পারবেন। মহাকাশ স্টেশনে থাকতে প্রতি রাতের ভাড়া গুনতে হবে ৩৫ হাজার ডলার। তবে আসল খরচ হবে মহাকাশে যাওয়া-আসা বাবদ। নাসা জানিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যক পর্যটকই প্রতিবছর সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। নাসার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জেফ ডেউইট বলেন, এই মুহূর্তে নাসার কোনো নভোচারী যখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তখন তাদের পেছনে খরচ পড়ে আট কোটি ডলার। এখন যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নাসা মহাকাশে পর্যটক পাঠাতে শুরু করে, তখন গড়ে খরচ পড়বে জনপ্রতি পাঁচ কোটি আশি লাখ ডলার। মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর পর সেখানে নানা ধরনের তত্পরতায় অংশ নিতে পারবেন পর্যটকরা। পর্যটকরা সেখানে ‘জিরো গ্রাভিটি’ অর্থাত্ ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। সেখান থেকে মহাকাশ এবং পৃথিবীর চমত্কার দৃশ্য দেখতে পাবেন এবং ব্যাডমিন্টনও খেলতে পারবেন।

নাসা জানিয়েছে, যারা পর্যটক হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন তারা সেখানে তিরিশ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। নাসা দুটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে পর্যটকদের মহাকাশ স্টেশনে আনা নেওয়ার জন্য। এর একটি ইলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’। এরা তাদের ড্রাগন ক্যাপসুল ব্যবহার করবে পর্যটকদের পরিবহনের কাজে। আরেকটি হচ্ছে বোয়িং। স্টারলাইনার নামে একটি মহাকাশযান তৈরি করছে বোয়িং এই কাজে।

ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ স্টেশনে কোনো পর্যটককে পৌঁছে দেওয়া এবং ফিরিয়ে আনা বাবদ ছয় কোটি ডলার ভাড়া দিতে হবে এই দুটি কোম্পানিকে। তবে পর্যটক হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার আগে খুবই কঠোর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

নাসার একজন কর্মকর্তা বিল গেরস্টেনমেইনার বলেন, নিচু কক্ষপথের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে নাসা ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম নারী নভোচারী পাঠানো এবং নতুন করে চাঁদে অভিযান শুরু করার তহবিল যোগাতে পারবে। এরপর মঙ্গলগ্রহেও অভিযানের প্রস্তুতি নিতে পারবে। নাসা এখন মহাকাশের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে আরেকটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যার ফলে কোটিপতিদের জন্য এখন খুলে যেতে পারে মহাকাশের দুয়ার।