বিরাট বিশ্রাম
হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া পোতাশ্রয়ে সারা দিন জাহাজ আর ফেরির ভিড় লেগেই থাকে। অবসর বা বিশ্রামের কোনো জায়গাই যেন নেই এই ব্যস্ত জায়গায়। এই শব্দগুলোকে নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই কিনা কে জানে, পোতাশ্রয়ে দেখা মিলেছে এক আজব চরিত্রের! পানিতে হাত-পা ছড়িয়ে বেশ আয়েশ করে শুয়ে একমনে আকাশ দেখছে সে। ঠিক যেন সপ্তাহ শেষে ছুটি কাটাতে আসা কোনো আরামপ্রিয় ভদ্রলোক। নাহ, বাস্তবের কোনো চরিত্র নয় সে। চরিত্রটির নাম ‘কম্প্যানিয়ন’। সোজা বাংলায় বলা যায় ‘সঙ্গী’। আর এমন ভঙ্গিমার ভাস্কর্যের নাম দেওয়া হয়েছে হলিডে বা ছুটির দিন।
মার্কিন ভাস্কর ব্রায়ান ডনেলি সৃষ্টি করেছেন সঙ্গী চরিত্রটি। অবশ্য কাওস নামেই বেশি পরিচিত ডনেলি। প্রথম দেখায় এই ভাস্কর্য তৈরি বেশ সাধারণ মনে হলেও এটি মোটেই সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ৩৭ মিটার লম্বা বিশাল এই ভাস্কর্য তৈরিতে তাঁকে সাহায্য নিতে হয়েছে অল রাইটস রিজার্ভড নামক বিখ্যাত এক স্টুডিওর। অবশ্য বানানোর কথা বাদ দিলেও কম ঝামেলা পোহাননি কাওস। ৪০ টনেরও বেশি ওজনের হলিডেকে পানিতে ভাসিয়ে কারখানা থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত নেওয়াও ছিল সমস্যা। দুটি নৌকা ভাস্কর্যটিকে পানিতে টেনে টেনে নিয়ে যায় ভিক্টোরিয়ায়। আর এতে সময় লাগে আট ঘণ্টার মতো।
কাওসের এই ভাস্কর্য তৈরির উদ্দেশ্য, এটি যেন শুধু বিশ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর তাতে বেশ সফলও তিনি। স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই বেশ হইচই পড়ে গেছে হলিডেকে নিয়ে। অনুমান করা হচ্ছে, শুধু স্থানীয় এলাকায় নয়, খুব শিগগির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়বে হলিডে। ইতিমধ্যেই হলিডের মতো দেখতে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি
ভাস্কর্য বানানো হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। ছোট্ট হলিডেও বেশ সমাদৃত হচ্ছে সেখানে। আর কাওসের এই আসল হলিডে ভিক্টোরিয়া পোতাশ্রয়ে আপাতত বিশ্রাম নেবে মার্চ মাসের শেষ অবধি। তারপর বোধ হয় বিশ্রাম ফেলে আবার কাজে মনোযোগী হবে সে! তথ্যসূত্র: সিএনএন