• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলায় নিহত মতলবের ডাঃ মোজাম্মেলের লাশ দেখতে চায় মা

প্রকাশ:  ১৮ মার্চ ২০১৯, ১১:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জুমার নামাজরত অবস্থায় শত শত মুসল্লির ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় গত ১৫ মার্চ শুক্রবার মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের হুরমাইশা গ্রামের মৃত হাবিবউল্লা মিয়াজীর ছেলে ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন সেলিম সশস্ত্র বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। এখনো অনেক নিহতের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
    গতকাল ১৭ মার্চ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেলিমের মৃত্যুতে তাঁর বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তাঁর বৃদ্ধা মা জামিলা খাতুন সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। ভাই-বোন ও স্বজনদের আহাজারিতে বাড়ির বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন সেলিম সাড়ে ৩ বছর আগে মেডিকেল থেকে পাস করে নিউজিল্যান্ডে এফআরসিএস করতে যান। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। ঘটনার পর থেকে তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান নিহতের পরিবার। পরে ১৬ মার্চ বিকেলে নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মুজিবুর নামের এক সহপাঠী ফোন করে তার মৃত্যুর খবর জানান।
    নিহত ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন সেলিমের মেঝো ভাই মোঃ শাহাদাত হোসেন মিয়াজী জানান, গত শুক্রবার তাঁর সহপাঠীরা আমাকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানিয়েছে। গত সাড়ে ৩ বছর পূর্বে উচ্চশিক্ষার জন্যে ঋণ করে আমার ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন সেলিমকে নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়েছি। ২০১৫ সালে ঢাকা মিরপুর মার্কস মেডিকেল থেকে ডাক্তারী পাস করার পর তাকে নিউজিল্যান্ডে পাঠাই। সে নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। প্রতি শুক্রবারই আমার সাথে ও মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতো।
    খাদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন রিপন মীর জানান, নিউজিল্যান্ডে নিহত ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন সেলিমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি তাদের নিজ বাড়ি হুরমাইশা গ্রামে গিয়েছি এবং তাঁর বৃদ্ধ মাতা ও ভাই-বোনদেরকে সান্ত¡না দিয়েছি। নিউজিল্যান্ড থেকে সেলিমের লাশ যেনো দ্রুত দেশে পৌঁছে সেজন্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
    সেলিমের বড় ভাইয়ের নাম আব্দুল মালেক মিয়াজী, বড় বোন জোৎ¯œা। বৃদ্ধ মাতা জমিলা খাতুন। শিশুকালেই বাবাকে হারিয়েছেন সেলিম।
    সেলিমের ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার ছোট। সরকারের কাছে একটি চাওয়া, দ্রুত যেনো আমার ভাইয়ের লাশ দেশে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত