পোপকে উত্তর কোরিয়ায় কিমের আমন্ত্রণ
পোপ ফ্রান্সিসকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এমন তথ্য দিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ইউরোপ সফরের শুরুতে ভ্যাটিকান সিটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন নিজ হাতে কিম জং-উনের আমন্ত্রণপত্র পোপের কাছে হস্তান্তর করবেন।
এর আগে কোনো পোপই উত্তর কোরিয়া সফর করেননি। এমনকি উত্তর কোরিয়া ও ভ্যাটিকানের মধ্য কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।
এর আগে ২০০০ সালে কিম জং-ইনের বাবা কিম জং-ইল পোপ জন পলকে (দ্বিতীয়) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমন্ত্রণের জবাবে পোপ জন পল বলেছিলেন, ‘আমি যদি এই আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারি, সেটি হবে একটি অলৌকিক ঘটনা।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কিম ইউয়ি-কিয়োম বলেন, মুন জায়ে-ইন পোপ ফ্রান্সিসকে চেয়ারম্যান কিম জং-উনের হয়ে জানাবেন যে পোপ যদি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং সফরে আসেন, তবে পোপকে আন্তরিক আতিথেয়তা করতে পারলে কিম অত্যন্ত খুশি হবেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে-পরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গেও তিনি তিন-তিনবার বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিম জং উন। এবার তিনি পোপ ফ্রান্সিসকে আমন্ত্রণ জানালেন। এই বিষয় ইতিবাচকভাবেই দেখছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা আছে এবং বেশ কিছু গির্জা রয়েছে। পশ্চিমা মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করে থাকেন, এগুলো কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পরিচালিত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্যমতে, দেশটিতে ৩ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন। তবে তাদের রাষ্ট্রপরিচালিত সংগঠন কোরিয়ান ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশন (কেসিএ) কোনোভাবেই ভ্যাটিকানের সঙ্গে যুক্ত নয়।