যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : রাশিয়া
রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার কারণে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর পর ক্রুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন উভয়েই। রাশিয়া বলছে, যে যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই হুমকি দিয়েছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো দেশ অস্ত্র কিনলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
সম্প্রতি চীন রাশিয়ার কাছ থেকে সুখই যুদ্ধবিমান এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। তাই চীনের সেনাবাহিনীর ক্রয় শাখা এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন।
এসবের মধ্যে রয়েছে ১০টি সুখই যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র।
এ বিভাগ এবং তার পরিচালক লি শাংফু এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন রপ্তানি লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন না এবং মার্কিন অর্থ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন না।
ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে চীন রাশিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হস্তক্ষেপের জবাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞায় তখন যোগ দেয়নি চীন।
এতে ক্ষুব্ধ চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানাচ্ছেন। অন্যথায় তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বেইজিংয়ে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া খুবই কঠোর। কিন্তু বেইজিং কতটা ক্ষুব্ধ হয়েছে সেটা পরিষ্কার হবে ওয়াশিংটনের সাথে তাদের সম্পর্ক কী দাঁড়াবে সেটা প্রকাশ করার পর।
চীনও এখন উন্নত মানের সামরিক অস্ত্র তৈরি করছে। তার পরও তারা আমেরিকার কাছে থেকে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে রাশিয়া আগে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু এখন এ প্রযুক্তি বেইজিংয়ের সঙ্গে শেয়ার করতে মস্কো আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
চীন ও রাশিয়া মিলে সম্প্রতি যৌথ মহড়াও চালিয়েছে যাকে শীতল যুদ্ধ অবসানের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
খবর বিবিসি