• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৯১

প্রকাশ:  ০৬ আগস্ট ২০১৮, ২০:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ লোম্বকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে। 

রবিবার রাতের এ ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর ও ভবন। ভূমিকম্পের পর জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

 

 

ভূমিকম্পের পর প্রায় ২৪ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হলেও ১ ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়।

 

এক টুইট বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপ পুরাও নাগরোহো জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ৯১ জন ও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। আর অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

 

ইন্দোনেশিয়ার জরুরি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের পর পরই গোটা দ্বীপে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়।

 

 

নয়নাভিরাম সৈকত ও হাইকিং ট্রেইলের জন্য লম্বোক পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এ দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়।

 

এবারের ভূমিকম্পে দ্বীপের প্রধান শহর মাতরমের ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দা ইমান বলেন, ভূমিকম্পে পুরো শহর কেঁপে উঠলে সবাই আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে।

 

মাতরমের সিটি হাসপাতাল আর বালির ডেনপাসার হাসপাতাল থেকে রোগীদেরও বের করে আনা হয়। তাদের রাস্তায় রেখে চিকিৎসা দিতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।

 

 

বালি দ্বীপে কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর লম্বোক ও বালি বিমানবন্দরে লোকজনকে আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়।

 

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম একটি সম্মেলনে অংশ নিতে ওই সময় লম্বোক দ্বীপেই ছিলেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হোটেল রুম এমনভাবে কাঁপছিল যে দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। 

 

 

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই এ ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কারণ, এটি পৃথিবীর রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলটিতে ঘন ঘন ভূকম্পন এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলো এই রিংয়ে রয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত