গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ২৫, আহত তিন শতাধিক
গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু রয়েছে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, রাজধানী গুয়েতেমালার সিটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ২৫ মাইল দূরে এ অগ্ন্যুৎপাতের সূত্রপাত হয়।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি সার্গেও কাবানাস স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে জানান, ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভায় তলিয়ে গেছে এল রোডেও গ্রামটি। এ ঘটনায় বহু মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক শত মানুষ। এছাড়া ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।
লাভার স্রোত এল রোডেও গ্রামে যাওয়ার পথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, লাভার কারণে ওই গ্রামের মানুষের আরও প্রাণহানি হতে পারে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আমরা সেখানে যেতে পারছি না, জানান তিনি।
আকাশ ছাইয়ে ঢেকে যাওয়ার কারণে রাজধানীর লা আওরোরা বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৭৪ সালে এই আগ্নেয়গিরি থেকে সর্বশেষ লাভা নির্গত হয়েছিল। স্থানীয় এক নারী জানান, লাভা ফসলি খেত দিয়ে বয়ে ধেয়ে আসছে। তার ধারণা, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কনসুয়েলো হার্নান্দেজ নামের আরেক এক নারী জানান, কেউ রক্ষা পায়নি। আমার ধারণা, তারা সবাই মারা গেছেন।
গুয়েতেমালা সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বাতাসে ছাই থেকে রক্ষা পেতে সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গুয়েতেমালা মিলিটারি জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, দেশটিতে গত চার দশকের মধ্যে এই আগ্নেয়গিরিতে এটিই সবচেয়ে বড় লাভা নির্গত হওয়ার ঘটনা।
‘ফুয়েগো’ শব্দের অর্থ আগুন। এই আগ্নেয়গিরিটি রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।