• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রিসিপশনে পরিপাটি কে এই যুবতী!

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:০৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

অফিসের রিসিপশনে বসে আছেন সুন্দরী যুবতী। পরিপাটি সাজ। আকর্ষণীয় চেহারা। চোখের মণি নীল। মুখে হাসি মাখানো। আপনাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন। হাত বাড়িয়ে দিলেন। আপনার হাতে হাত মিলিয়ে স্বাগত জানালেন। কমনীয়তায় বসতে বললেন আপনাকে। কিন্তু কণ্ঠটাই শুধু একটু ভিন্ন। একটু যান্ত্রিক। মনে হলো ফাঁপা পাইপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে। আপনি চমকে উঠলেন। 

তার হাত আপনার হাতের মতো উষ্ণ নয়, ঠাণ্ডা। কি ভয় পেলেন! না, রিসিপশনে বসা এই সুন্দরী প্রকৃত মানুষ নন, তিনি রোবট। রোবট নারী। আপনার পাশে এসে দাঁড়ালেন তিনি। আপনি কেন, তৃতীয় কেউও বাইরের অবয়ব দেখে বলতে পারবেন না আপনার আর এই যুবতীর মধ্যে পার্থক্য কি! হ্যাঁ, রোবট প্রযুুক্তি এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমন দিন খুব দূরে নয়, যেদিন আপনার পাশে বসে সহকর্মীর মতো কাজ করছে কোনো রোবট মানব বা মানবী। অথবা এমনও হতে পারে তাদের আধিপত্যের কারণে মানুষ হয়ে পড়বে বেকার। এমনটাই আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষ। ইউগভের সাম্প্রতিক এক জরিপে ফুটে উঠেছে এ তথ্য। ইয়াংইয়াংয়ের কথাই ধরি। তাকে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের রাজনীতিক সারাহ পালিনের মতো।

সারাহ পালিনের সঙ্গে তার ব্যবধান খুব কমই। বড় ব্যবধান হলো ইয়াংইয়াং রোবট নারী। সারাহ প্যালিন মানুষ। এই প্রতিবেদনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ইয়াংইয়াং-এর। একবার মিলিয়ে দেখুন। একবার যদি আপনি তার সামনে পড়েন তাহলে হাত বাড়িয়ে দেবে। হ্যান্ডশেক করবে। উষ্ণ আলিঙ্গন করবে। ল্যাবরেটরিতে তাকে জন্ম দিয়েছেন জাপানের রোবট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিরোশি ইশিগুরো ও চীনের রোবট বিষয়ক প্রফেসর সং ইয়াং। বলা হয়েছে, ইয়াংইয়াং তার চেহারা প্রকৃতপক্ষে সারাহ প্যালিনের কাছ থেকে পায় নি। পেয়েছে সং ইয়াংয়ের কাছ থেকে। সং ইয়াংয়ের শৈশবে নাম ছিল ইয়াং হান্টিং। সেই নাম থেকেই এই রোবট মানবীর নাম দেয়া হয়েছে ইয়াংইয়াং। এই রোবট মানবী একাই নয়। এমন অনেক রোবট মানবী আছে এখন বিশ্বে।

সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে (এনটিইউ) গেলে এমন আরো রোবট দেখা যাবে। ইয়াংইয়াং-এর মতো সেখানে আরো একটি রোবট আছে। তার নাম নাদিন। সে এনটিইউতে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করছে। তার রয়েছে প্রেমে পড়ার মতো আকর্ষণীয় চুল। মসৃণ ত্বক। হাসতে পারে। গলিয়ে ফেলতে পারে যেকোন সুঠাম পুরুষকে। স্বাগত জানায় সবাইকে। হ্যান্ডশেক করে। চোখে চোখে কথা বলে। মজার কথা হলো সে অতীতে যেসব ভিজিটরের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছে তাকে বা তাদেরকে সে চিনতে পারে। অতীতে তাদের মধ্যে যে কথা হয়েছিল সেখান থেকে শুরু করে কথোপকথন।