পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে শুধু একটি জিনিসেই কাজ হবে: ট্রাম্প
বছরের পর বছর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কোন ফল আসেনি দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শুধুমাত্র একটি জিনিসেই কাজ হবে’। তবে সেই একটি জিনিস কি সেই সম্পর্কে কোন কিছু পরিষ্কার করেননি ট্রাম্প।
এক টুইটবার্তায় বলেন ট্রাম্প বলেন, ‘২৫ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট এবং তাদের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে, কিন্তু এতে কাজ হয়নি।’
কিন্তু তিনি ‘একটি জিনিস’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন তার কোন ব্যাখ্যা দেননি। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মকাণ্ড ঘিরে দুটি দেশের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে।
পিয়ংইয়ং বলেছে, তারা সম্প্রতি একটি ছোট আকারের হাইড্রোজেন বোমা সফলভাবে পরীক্ষা করেছে এবং সেটি দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করা সম্ভব।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ এবং ওই অঞ্চলে তাদের মিত্রদের রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
ওয়াশিংটন থেকে লরা বিকার বলেন, শনিবারের এই টুইটবার্তা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আরেকটি রহস্যপূর্ণ ঘোষণা।
গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে বলে জানানোর পর ট্রাম্প টুইট করেছিলেন- "তোমার শক্তি সঞ্চয় করে রাখ রেক্স, যা করা প্রয়োজন আমরা সেটাই করবো"।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের ভালো সম্পর্ক আছে, তবে তিনি এটাও বলেন যে টিলারসন আরো কঠোর হতে পারতেন।
গত সপ্তাহেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে যে এই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘিরে টিলারসন প্রেসিডেন্টকে 'নির্বোধ' বলেছেন। যদিও এটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য শুধুমাত্র বাগাড়ম্বরও হতে পারে, কিন্তু আশঙ্কা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া এই মন্তব্যকে একটি হুমকি হিসেবে নিতে পারে। গত মাসেই জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়ে দেশটির নেতা কিম জং উন "একটি আত্মঘাতী অভিযানে আছে" বলে মন্তব্য করেন।
জবাবে কিম প্রতিশ্রুতি দেন যে "তিনি আগুনের মাধ্যমে এই মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং ভীমরতিগ্রস্ত মার্কিন বৃদ্ধকে বশে আনবেন"।