মোদিকে বিয়ে করে, তবেই বাড়ি ফিরবেন শান্তি
বিয়ে করলে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই করবেন। এমনই পণ করে দিল্লির যন্তর মন্তরে মাসখানেক ধরে ধর্নায় বসে আছেন ওম শান্তি শর্মা।
৪০ বছর বয়সী শান্তি শর্মা রাজস্থানের জয়পুরে থাকেন। তার ২০ বছর বয়সী এক মেয়েও আছে। শান্তি বিবাহবিচ্ছিন্না। কিন্তু শান্তির মনে অদ্ভুত একটা জেদ চেপে বসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি বিয়ে করতে চান।
একটু হেসে শান্তি বলেন, আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেশি দিন সেই সম্পর্ক টেকেনি। তার পর থেকে বহু বছর আমি একা।
শান্তির যুক্তি হচ্ছে, তিনি এখন একা, প্রধানমন্ত্রীও একা। মোদিকে অনেক কাজ করতে হবে, আর সেই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতে চান শান্তি। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানান, শুধুমাত্র মোদিকে বিয়ে করবেন বলে বিয়ের বহু প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
মোদির সঙ্গে দেখা করা অত সহজ নয়, এ কথা ভাল ভাবে জানেন শান্তি। সেটা স্বীকারও করেছেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি যতক্ষণ না এসে তার সঙ্গে দেখা করবেন, তিনি এই ধর্না তুলবেন না।
শান্তি বলেন, মানুষ যখন এই কথা শোনেন, আমাকে উপহাস করে। কিন্তু তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, শুধু ভালবাসার টানেই নয়, মোদির প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সে কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত।
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, ছোটবেলায় তাকে শেখানো হয়েছে বড়দের সম্মান করো, তাদের কাজে সাহায্য করো। তাই মোদিকে বিয়ে করে তার কাজে সাহায্য করতে চান।
শান্তির দাবি, তার সম্পত্তি বা অর্থের কোনও অভাব নেই। ভবিষ্যত্ নিয়েও চিন্তিত নন। জয়পুরে প্রচুর জায়গা-জমি রয়েছে। সেসব বিক্রি করে মোদির জন্য উপহার কেনার পরিকল্পনা করেছি। তবে মোদি যতক্ষণ না আসবেন, যন্তর মন্তর থেকে আমি এক পা-ও নড়ব না।
একমাস ধরে যন্তর মন্তরে সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি শৌচালয় ব্যবহার করছেন শান্তি। আর খাওয়া-দাওয়া করছেন কাছেরই গুরুদ্বারে।