• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

১৫৯ ঘণ্টা ওভারটাইম প্রাণ নিলো সাংবাদিকের

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৪৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

জাপানের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে তাদের কর্মপ্রক্রিয়ায় আরো পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছে, কারণ সম্প্রতি সেখানে একজন তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুর কারণ ছিলো অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা। এক মাসে ১৫৯ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করার ফলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এনএইচকে সাংবাদিক মিওয়া সাডো।

টোকিওতে রাজনৈতিক খবর সংগ্রহ করা ছিলো তার কাজ। ২০১৩ সালে জুলাইতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় বিছানার উপরে। সে সময় নিজের ফোন খুব শক্তভাবে ধরেছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় সাডোর বয়স ছিলো মাত্র ৩১।

এর এক বছর পরে জাপানের কর্মকর্তারা বলেন, তার মৃত্যু অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মৃত্যুর আগের মাসে মাত্র দুদিন ডে অফ নিয়েছিলেন তিনি। ‍মৃত্যুর ঘটনার চার বছর পরে এসে সাডোর মা-বাবার চাপের মুখে এনএইচকে মামলাটি সবার কাছে উন্মুক্ত করেন। সাডোর বাবা মা চান, যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

মামলাটি আবার নতুন করে আলো ফেলেছে অতিরিক্ত কাজের কারণে মৃত্যুর উপর। কারণ জাপানে দৈনন্দিন কর্মঘণ্টা অতিরিক্ত বেশি।

২০১৩ সালে টোকিও অ্যাসেম্বলি ইলেকশন কভার করেছিলেন সাডো। এরপরের মাসে জাতীয় সংসদের জন্য উচ্চকক্ষের ভোটও কভার করেন তিনি। এর তিন দিন পরেই মারা যান তিনি।

তার মা স্থানীয় এক দৈনিককে বলেন, ও হয়তো আমাকে তখন ফোন করারই চেষ্টা করছিলো। ওর মৃত্যুতে যেন আমার শরীরের একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি জীবনে আর একবারও সত্যিকার হাসি হাসতে পারবো না আমি।

২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর এই রহস্য উদঘাটন পুরো দেশকেই চমকে দিয়েছে। কারণ এরআগে জাপানের এই সরকারি টিভি এনএইচকে অন্যান্য কোম্পানির কর্মীদের এমন দুঃখজনক মৃত্যুর ব্যাপারে খবর প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালে একটি বড় অ্যাডভারটাইজিং এজেন্সি ডেন্টসুতে এক নারীর ১০০ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করার পর আত্মহত্যার ঘটনাও।

এনএইচকে প্রধান রোইচি উয়েডা তাদের সম্প্রচার মাধ্যমে কর্মঘণ্টা আরো উন্নত করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন অসাধারণ একজন সাংবাদিককে হারিয়ে আমরা খুবই ব্যথিত। তার মৃত্যুর সঙ্গে কাজের সম্পৃক্ততার ব্যাপারটা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। তার মায়ের সঙ্গে মিলে আমরা কর্মঘণ্টা পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাবো।

সর্বাধিক পঠিত